
ছাতক(সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বন্যার পানি নামলেও এখন পর্যন্ত ছাতক উপজেলার বুড়াইর ও আলমপুর সড়কে ১৫টি গ্রামে যান চলাচল এখন শুরু হয়নি। বন্যায় প্রচন্ড স্রোতে তোড়ে সায়াতপুর, ঘিলাছড়া, আলমপুর গ্রাম এলাকায় পৃথক পৃথক স্থানে পাকা সড়ক খন্ড খন্ড হয়ে পড়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে দুটি ইউপির ১৫টি গ্রামে প্রায় ৫০হাজার বানভাসি মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্যায় গোবিন্দগঞ্জ থেকে তিন কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে; এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সড়ক থেকে পানি নামলেও ছাতকে বুড়াইর গাও আলমপুর সড়ক এখনও বিচ্ছিন্ন আছে বলে জানিয়ে প্রধান শিক্ষক মাওলানা সামছুল ইসলাম,শিক্ষিকা সৈয়দা ফাতেমা বেগম,আব্দুল ওদুদ ও শ্রমিক নেতা খছরু মিয়া,সিরাজুল ইসলাম ও সারব আলী,আলী আহমদ ও মৌলভী শাহজাহান।
স্মরনকালে ভয়াবহ বন্যায় পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে এ সড়ক বেশির ভাগ ভেঙ্গে সড়ক। বন্যায় উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তর খুরমা ইউপির আলমপুর,দাহারগাও,মানজিহারা,গিলাছড়া,
হামিদপুর,তেরাপুর ও মোহনপুরসহ ১৫টি গ্রাম শতাধিক ঘর বাড়িতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। বন্যায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এলাকার ১৫টি গ্রামে। এখন সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। পানি উঠে সড়কে পৃথক পৃথক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কার্পেটিং উঠে গেছে।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে থেকে বুড়াইর গাও ও আলমপুর সড়কে যান চলাচল শুরু কথা ছিল। তবে পানির তোড়ে এই সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ ও বড় বড় মিনি পুকুর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে এখন দুটি সাকো দিয়ে মানুষ পা হেটে চলাফিরা করছেন।
এএলএম/এমআর