কুয়াকাটায় কিশোরী অপহরণ মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় কিশোরী অপহরণ মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার
শনিবার ● ৩ অক্টোবর ২০২০


বরগুনার কিশোরী অপহরণ মামলায় কুয়াকাটায় আসামি আটক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল ’গোল্ডেন ইন’ থেকে শিশু অপহরণের ঘটনায় সময় টেলিভিশনের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি এম.এ আজিম (২৭) কে পুলিশ আটক করেছে। এসময় অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় । এ ঘটনায় শিশুটির চাচা আসুতোষ সরকার বাদী হয়ে শনিবার (৩ অক্টোবর) তিনজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বরগুনা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৪ । মামলার অন্য দু’জন আসামীরা হলো একই জেলার গৌরী চন্না এলাকার শিবশংকর সেন’র ছেলে সুবাস সেন  ও মো.ইউসুফ সিকদার’র ছেলে মো.ইমরান হোসেন । এরা দু’জনে পলাতক রয়েছে ।

বরগুনা থানার পুলিশ উপ- পরিদর্শক মো.জাহিদ হোসেন জানান, ২ অক্টেবর রাত ৯ টার দিকে বরগুনা কলেজ রোড এলাকায় বাসুদেব সরকারের ১৪বছরের কিশোরী মল্লিকা সরকার প্রকৃতি ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ওৎ পেতে থাকা সাদা একটি প্রাইভেট কার যোগে সময় টিভি’র বরগুনা জেলা প্রতিনিধি এম.এ আজিম সহ অন্য আসামীরা শিশুটিকে জোড় পূর্বক গাড়ীটিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় । রাত সোয়া দুই টার দিকে  কুয়াকাটার হোটেল গোল্ডেন ইন- ৪০১ নং কক্ষে ডায়েরীভুক্ত করে অবস্থান করেন । এ খবর পেয়ে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.বেল্লাল হোসেন ও মো.সাইদুল ইসলামের সহযোগিতায় ওই হোটেলে অবস্থানরত কক্ষ থেকে সাংবাদিক আজিম সহ ওই শিশুটিকে রাত তিনটার দিকে উদ্ধার করে।

শনিবার আটককৃত সাংবাদিক এম.এ আজিমকে বরগুনার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে । অপহৃত শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে বরগুনা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান  জানান, তার থানার এস.আই বেল্লাল ও সাইদুল ইসলাম সহ বরগুনা থানার এস.আই মো.জাহিদ হোসেন বরগুনা জেলা সময় টিভি’র প্রধিনিধিকে আটক করে  অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করেছে । এ ঘটনায় বরগুনা থানায় অপহরন মামলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।

এদিকে, কুয়াকাটা হোটেল গোল্ডেন ইন’র ম্যানেজার মো.রেদোয়ান জানান, রাত ২ টা ১৫ মিনিটের সময় সাংবাদিক আজিম তার পত্রিকার আই.ডি কার্ড প্রদর্শন করে হোটেলের ৪০১ নং কক্ষে ডায়েরী করে অবস্থান করেন। তবে মেয়েটির প্রকৃত নাম গোপন করে মোসা.জান্নাতুল দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।


এমবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫২:৩৯ ● ৬৭৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ