আগৈলঝাড়ায় সেচ সংকটের কারণে ২শ’ ৫০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ

প্রথম পাতা » বরিশাল » আগৈলঝাড়ায় সেচ সংকটের কারণে ২শ’ ৫০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ
বুধবার ● ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


এভাবে খাল শুকিয়ে রয়েছে
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি ॥
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পানি সেচ সংকটের কারণে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের ইরি ব্লকের কমপক্ষে ২শ’ ৫০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই সকল ব্লকের জমির মালিক ও চাষিরা তাদের পরিবারের খাদ্য যোগান নিয়ে চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগের কাছে যেমন সঠিক কোন তথ্য নেই, তেমন নেই কোন মাথা ব্যথা।

ক্ষতিগ্রস্থ চাষীরা জানান, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা থেকে ভদ্রপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি খাল দীর্ঘদিন যাবৎ খনন না করায় তা ভরাট হয়ে যায়। এর ফলে চলতি বছর গৈলা গ্রামের ইরি ব্লক ম্যানেজার সিরাজ সরদার, শুকলাল মন্ডলের ব্লকের প্রায় ১শ’ একর জমির ইরি-বোরো চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এর সাথে চলতি মৌসুমে একই এলাকার আরেক ব্লক ম্যানেজার সেলিম সরদারেরও ইরি ব্লকটি পানির অভাবে সব জমি চাষাবাদ করতে পারেনি। শ্যালো ও পুকুরের পানি দিয়ে কিছু জমি চাষাবাদ করছে। ওই ব্লকের প্রায় ৪০ একর জমি চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আশপাশের ব্লকগুলোতেও সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই এলাকার আবু সায়েদ, বাবুল সরদার ও জসিম সরদারেরও ব্লকের পানির প্রায় ১শ’ একর জমি চাষাবাদ বন্ধের রয়েছে। ফলে ওই সকল ব্লকের দুই শতাধিক চাষিরা তাদের জমিতে কোন ফসল ফলাতে না পারায় তাদের পরিবার সদস্যদের সারাবছরের খাদ্য সংকট নিয়ে চরম সমস্যায় পরতে হচ্ছে। শিশু-কিশোরেরা শুকিয়ে যাওয়া খালে এখন মাছ ধরছে। এ কারণে উপজেলা কৃষি অফিসের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দরে রাখা সম্ভব নয়। উপজেলার প্রায় সব খালে এখন পানি নেই।

গৈলা ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাফর ইকবাল খালে পানি সংকটের সত্যতা স্বীকার করে জানান, পলি পরে খাল ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। তার আওতায় শুধু মাত্র ৭ হেক্টরের জমির চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালে ইরি-বোরো চাষাবাদের সময় খালে বাঁধ দেয়া হয়েছিল তা কেটে দেয়া হয়েছে। পলি পরে খাল ভরাট হয়ে গেছে। খাল কাটা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। পানির অভাবে ওই এলাকা প্রায় ১৫০ একর জমিতে চলতি ইরি-বোরো চাষ হচ্ছেনা।

এএলএস/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৬:২৯ ● ৪৩৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ