মহিপুরে চলছে খাদ্য গুদামের জমি দখলের উৎসব

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » মহিপুরে চলছে খাদ্য গুদামের জমি দখলের উৎসব
শনিবার ● ৬ জুন ২০২০


মহিপুরে চলছে খাদ্য গুদামের জমি দখলের উৎসব

মহিপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর মহিপুরে খাদ্য গুদামের জমি দখল এবং বিক্রর উৎসব চলছে। অভিযোগ উঠেছে, মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের ইউনুস সিকদার কর্তৃক সরকারি খাদ্য গুদামের জমি বিক্রি এবং অসহায় এক প্রতিবন্ধীর জমি দখল ও তার চলার পথ দখল করে বিক্রি করার। যার কারনে প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া বুধবার কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউনুস সিকদারের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে বলা হয়, প্রতিবন্ধী বাদসা মিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে তার সংসার চালায়। তার নিজের কোন জায়গা জমি না থাকায় মহিপুরের ওয়াপদা রাস্তার নিভারসাইডে  মহিপুর বন্দরে গোডাউনের সামনে ঘড় তুলে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বিগত ২০ মে অভিযুক্ত ইউনুস সিকদার লোকজন নিয়ে খোন্তা, কোদাল, ওড়া নিয়ে তার বসত বাড়ির মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাটি ভরাট করে ভিটি তৈরি করতে থাকলে সে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বাধা দিলেও শোনেনি। জোরপূর্বক বাড়ির মধ্যে দখল করে ভিটিতে ঘড় তোলার চেষ্টা করতেছে। যার প্রতিকার পাওয়ার জন্য তিনি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দারস্থ হন।

প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া জানান, অভিযুক্ত ইউনুস সিকদার বর্তমানে খাদ্য গুদামের প্রায় দেড় একর  জায়গা দখল করে আছে এবং আগেও সে দখল করে একই প্রক্রিয়ায় অনেকের কাছে দখলকৃত জমি বিক্রি করেছে।
তার ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার কারনে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ ইউনুস সিকাদারের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় খালেক ফিটার বলেন, আমার বাসার দরজা এবং একমাত্র চলার পথ খাদ্যগুদামের সম্পত্তি যা বন্ধ করে দখল করার মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছেন ইউনুস সিকদার।

অভিযুক্ত ইউনুছ সিকদার তার বিরুদ্ধের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমি সরকার কর্তৃক  তার লিজ আনা হাসের খামার করার জন্য।  তিনি কোন সরকারি জমি বিক্রি করেন নি, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্য ও ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে খাদ্য গুদামের উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ নিয়েছি এবং সরেজমিনে গিয়ে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এমই/এমআর

 

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৩:১৫ ● ৩৬২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ