কুয়াকাটায় পর্যটকের সেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় পর্যটকের সেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ
বুধবার ● ১১ মার্চ ২০২০


কুয়াকাটায় পর্যটকের সেবার মানোন্নয়নে নানা উদ্যোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কুয়াকাটা সৈকতের শুন্যপয়েন্টে নামতেই বাম দিকে লেখা রয়েছে মোটরসাইকেল রাখা নিষেধ, অথচ সেখানেই ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালকরা স্ট্যান্ড করে রেখেছে। পর্যটকরা একটু নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে না এসব মোটরসাইকেল চালকদের কারণে। তাদের কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা পর্যটকরা স্বস্তিতে সৈকতের বেলাভূমে অবস্থান করতে পারছেন না। শিশু-কিশোররা একটু দৌড়াদৌড়ি কিংবা বিচে হাঁটা-চলা করতে পারে না। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে অভিভাবকরা থাকেন চরম উৎকন্ঠায়। কারণ এ বিচের খাজুরা অংশে হোন্ডায় চলা এক শিশু জালের রশিতে গলা পেচিয়ে কেটে মারা গেছে এক বছর আগে। শুন্যপয়েন্টের পশ্চিম দিকে এক কিলোমিটারের মধ্যে পর্যটকের বেঞ্চির সামনে অসংখ্য জেলে নৌকা রাখা হয়। ফেলে রাখা হয় মাছ ধরার জাল। এমনকি সৈকতে শুকানো হয় শুটকী। দূর্গন্ধে চলাচল করতে পারেন না পর্যটক দর্শনার্থী। বেঞ্চিতে বসে সাগরের নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকন করতে পারছে না। সৈকতে বসানো হয়েছে অস্থায়ী বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। যেন চরম অব্যবস্থাপনা গোটা সৈকতজুড়ে। এছাড়া পর্যটককে হয়রাণি করা হয় নানাভাবে। যানবাহনে অতিরিক্তি ভাড়া আদায়। বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার নামে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম আর দৌরাত্ম অসহনীয় অবস্থায় পৌছেছে।
বিচের পাশে কাঁকরা এবং মাছ ফ্রাইয়ের দোকানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার পরিবেশ থাকায় পর্যটকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। এমনসব অনিয়ম রোধে মঙ্গলবার বিকেলে কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সভা কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল ইয়ুথ-ইন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা সকল ধরনের অব্যবস্থানা রোধকল্পে পর্যটকের সেবার মান নিশ্চিতের দাবি করেন। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পর্যটন পুলিশের এসপি (বরিশাল জোন) মো. রেজাউল করিম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়ত উদ্দিন, কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা প্রমুখ। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পর্যটন ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বীচ এলাকায় কোন ধরনের যানবাহন চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেন। যা শীঘ্রই কার্যকর হবে।
পর্যটক-দর্শনার্থীরা জানান যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনমুক্ত জোন করা খুবই জরুরি। তাইলে পর্যটক-দর্শনার্থীরা কুয়াকাটায় এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি একটু স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ফিরে পাবেন।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১১:০৮ ● ৪১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ