বাড়িঘর নির্মাণে ইটের বিকল্প কংক্রিট ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিবেশ

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » বাড়িঘর নির্মাণে ইটের বিকল্প কংক্রিট ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিবেশ
শনিবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯


আটলান্টা ব্রিকস এন্ড ব্লকস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বক্তব্য দিচ্ছেন
কাজী সাঈদ॥
বর্তমান সরকারের পরিবেশ অনুসরণ করে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে পরিবেশ বান্ধব নির্মাণ সামগ্রী কংক্রিটের ইট, ব্লক, কার্বস্টোন ব্যবহারের সুফল নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা সভা করেছে হাউস বিল্ডিং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আটলান্টা ব্রিকস এন্ড ব্লকস লিমিটেড। শনিবার বেলা ১১টায় কুয়াকাটা গেষ্ট হাউজের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হোটেল মোটেল ওর্নাস এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় পরিবেশ বান্ধব কংক্রিট ব্যবহারের সুফল নিয়ে আলোচনা করেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন, পরিচালক এ এস এম মাসুদ, আনোয়ার হোসেন, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনন্ত মুখার্জী প্রমুখ। প্রজেক্টরের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব কংক্রিট সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে প্রদর্শণীর প্রদর্শন করেন।

কোম্পানী কর্তৃপক্ষ বলেন, বাড়ি বা দালান কোঠা নির্মাণে ইটের ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের উপর মারাক্তক প্রভাব ফেলছে। ইট পোড়াতে কাঠ এবং কয়লা ব্যবহারে এর ধোঁয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে নানা ধরনের রোগব্যাধি। সবুজ পরিবেশ ক্রমেই কমে যাচ্ছে। সরকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইট ও কয়লার ব্যবহার বাদ দিয়ে পরিবেশ বান্ধব বাড়ি নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। আরো বলেন, ২০২২ সালের পর বাড়ি নির্মাণে ইটের আর নয়। ইটের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে ভাবছেন। এমন সময় আটলান্টা হাউজিং কোম্পানী কনক্রিট ব্লক, পেভার ও কার্বস্টোন ব্যবহার করে বাড়ি বা দালান কোঠা নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব যুযোপযোগী পদ্ধতি নিয়ে এসেছে। সিমেন্ট বালুর মিশ্রণে তৈরী কংক্রিটের ইট, ব্লক, কার্বস্টোন ও রকমারী ডিজাইনের টাইলসসহ নির্মাণ সামগ্রী। এসব নির্মাণ সামগ্রী দীর্ঘাস্থায়ী ও মজবুত। ইটের চেয়ে খরচও কম। পরিবেশ বান্ধব এসব নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিবেশের ভারসাম্য। ইট ভাটার গাছ পোড়ানো বা কয়লার বিসাক্ত ধোঁয়া থেকে বাচাঁবে পরিবেশ। রোগব্যধি মুক্ত শিশু ও মানুষ গড়ে উঠবে। বক্তারা আলোচনা সভায় উপস্থিত লোকজনকে পরিবেশ বান্ধব এ বাড়ি নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য আহবান জানান।

কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৩:৫৩ ● ৫৭০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ