
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অটোবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোবাইকসহ মোট চারটি অটো উদ্ধার করা হয়েছে। মহিপুর থানায় মামলা হওয়ার পর বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহিপুরের মো. নাসির হাওলাদার (৩৯), মো. শাহীন হাওলাদার (২২), দুমকির মো. রাহাত হাওলাদার (২৭), পটুয়াখালী সদরের আবুল বাশার (৩৫) ও মো. জসিম হাওলাদার (৩৮), বরিশালের বাকেরগঞ্জের মো. লিটন আকন (৫৭) এবং বরগুনার আমতলীর মো. জাকির হোসেন গাজী (৪৫)।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অটোচালক মো. মুছা বোরাক অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তায় অবস্থানকালে এক ব্যক্তি পর্যটক পরিচয়ে সূর্যোদয় স্পটে যাওয়ার কথা বলে তার নম্বর নেয়। পরে রাত ৯টার দিকে ফোন করে রাত ৩টায় রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে।
দিবাগত রাত ৩টার পরে আবার ফোন দিয়ে মুছাকে কুয়াকাটা মম্বিপাড়া নতুন বাজার বেড়িবাঁধের পাকা রাস্তায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেখানে পৌঁছালে ছিনতাইকারী দল তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তাদের একজন মুছার পিঠে চাকু দিয়ে আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান। এরপর তারা তার ব্যাটারি চালিত বোরাক অটোবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, গোপন তথ্য, পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করে।
তদন্তে নাসির, শাহীন, জাকির ও লিটন-এই চারজনের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তারা ছিনতাই করা অটোটি রাহাত হাওলাদারের কাছে বিক্রি করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে আরও তিনটি ছিনতাইকৃত অটো উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এমই/এমআর