
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে কমপ্লিট সাটডাউন-এ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। সারাদেশে একযোগে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট সার্টডাউন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিক্ষা বন্ধ রেখে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন কর্মবিরতী পালনকারীরা। এতে পরিক্ষা দিতে এসে বিদ্যালয় বন্ধ দেখে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে গেছে। এতে অভিভাবকরাও হতাশার মধ্যে আছেন। তাদের ছেলে-মেয়েদের কবে পরিক্ষা দিতে পারবেন। এদিকে বছরও শেষ হয়ে যাবে,পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট দিতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জানান, আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি কিন্তু পরিক্ষা বুধবার হচ্ছে না। বিদ্যালয় এসে দেখি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুবিদখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান মামুন জানান, আমি ছাত্র-ছাত্রীদরে অভিভবকের মাধ্যমে পরিক্ষা নেয়ার চেষ্টা করেছি। তবে একার পক্ষে সবক্লাশের পরিক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। বুধবার সকালে উপজেলার সহকারী শিক্ষক নেতারা এসে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ের মাঠে বসে আছি। জেলা থেকে স্যার এসে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ও শিক্ষকের সাথে কথা বলেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক দাবী বাস্তবায়ন পরিষদের এর আহবায়ক ও দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গাজী মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সারাদেশে একযোগে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট সার্টডাউন চলছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন দাবী বাস্তবায়ন কমিটির নেতারা। আরো বলেন, ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি এবং তিন দফা দাবি না মানায় তারা সারাদেশে কর্মবিরতিতে আছেন। দাবি পূরণ না হলে এ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলে জানান। দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটির সদস্য সচিব ও ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমইউ উজ্জ্বল খান জানান,সারাদেশে একযোগে আমাদের তৃতীয়দিনের মতো কর্মবিরতী কর্মসূচি পালন হচ্ছে। উপজেলার ১৪২টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকদের দাবী আদায়ের লক্ষ্য এ কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান,আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কে অবহিত করেছি, তাদেরকে ডেকে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেন ও পটুয়াখালী জেলা থেকে স্যার এসেছেন শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
ইউজি/এমআর