
সাগরকন্যা প্রতিবেদন, বরগুনা
মক্তবে যাওয়ার পথে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় এক যুবককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডেরও আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মোহসিন কাজি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছেলেন। মোহসিন কাজি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিটর রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, বেতাগী উপজেলার শরিষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ১২ বছরের এক শিশু ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬ টায় নিজ বাড়ি থেকে মক্তবে পড়তে যাওয়ার পথে ভিকটিমকে একা পেয়ে মোহাসিন কাজী তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গলায় চাকু ধরে খালের পাশে ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ভিকটিম তার মাকে বলে দেয়। পরে ভিকটিমের মা বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন। রায় ঘোষণার পরে ভিকটিমের বড় বোন নাবিলা বলেন, ধর্ষণের দায়ে মোহাসিন কাজীকে (৪৫) মৃত্যু দন্ডের রায় দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
ভিকটিমের মা মাফুজা বেগম এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তবে ধর্ষক মোহসিন কাজি তার মাকে দেখে কোর্ট বারান্দায় বলে ওঠে ‘তোমার জন্য আমার ফাঁসি হয়েছে।’ মোহসিন কাজীর মা বিউটি বেগম বলেন, বাদী পক্ষের লোকজন মিমাংসা করাতে এক লাখ টাকা চেয়েছিল। আমি শাক পাতা বিক্রি করি সংসার চালাই। তাদের চাহিদামত টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। ছেলের জন্য হাইকোর্টে আপীল করবো, সেই সমর্থ টুকুও আমার নেই।