বরগুনায় প্রতিবন্ধী স্ত্রীর মামলায় স্বামী কারাদণ্ড

হোম পেজ » বরগুনা » বরগুনায় প্রতিবন্ধী স্ত্রীর মামলায় স্বামী কারাদণ্ড
মঙ্গলবার ● ২৫ নভেম্বর ২০২৫


প্রতীকী ছবি।

সাগরকন্যা প্রতিবেদন, বরগুনা

শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী স্বামীর দাবিকৃত দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় তাকে নির্যাতনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. মাইন উদ্দিন মোল্লা (৩০)। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানা যায়, আসামি ও বাদির বাড়ি একই গ্রামে। বাদি ওই ট্রাইব্যুনালে ২০২৩ সালের ৭ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী জেনেও ২০২২ সালের ২০ মার্চ আসামি বাদিকে রেজিস্ট্রি কাবিনে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে বাদি বাবার বাড়ি থাকতেন। আসামি ব্যবসা করার জন্য বাদি ও তার পরিবারের নিকট দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এরই মধ্যে বাদি অন্তঃসত্ত্বা হন। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে বাদির বাবার ঘরে আসামি পূর্বের ন্যায় ব্যবসা করার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদি ও তার পরিবার যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আসামি উত্তেজিত হয়ে বাদিকে মারধর করে চলে যান।

বাদি বলেন, স্বামীর নির্যাতনে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। ওই সময় আমার স্বামী কোনো খোঁজ রাখেনি। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগে আমার স্বামী পরনারীতে আসক্ত হয়। তারপরও আমি স্বামীর সংসার করতে চেয়েছি। আমার স্বামী মামলা হওয়ার পর আমার খোঁজ রাখেনি। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এখনো আমার স্বামী আমাকে নিলে আমি যাব। আসামি পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৫:৩৫ ● ৯৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ