
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গৌরনদী (বরিশাল)
লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে আটক হওয়া বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ৬০ এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার ১০ যুবকসহ মোট ১০৮ বাংলাদেশিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত লিবিয়ার বাংকিনা কারাগার থেকে ধাপে ধাপে তাদের মুক্ত করা হয়।
মানবপাচার চক্রের সদস্য গৌরনদীর জাকির মোল্লা ও কুষ্টিয়ার লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা গৌরনদীর পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে দালাল জাকির মোল্লার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তার মা ও বোনকে গৃহবন্দি করে রাখেন।
অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে আটক ৭০ জনকে কারাগার থেকে ছাড়ানো হয়। তবে মুক্তির পর তাদের এখনো লিবিয়ায় দালালদের মনোনীত স্থানীয় ব্যক্তিদের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, ভাগ্য বদলের আশায় ঋণ ও জমি বিক্রি করে গৌরনদীর জাকির মোল্লা, বগুড়ার সাজু ও কুষ্টিয়ার লিটনসহ মানবপাচার চক্রকে প্রতিজন ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তিন দফায় মোট তিনটি স্পিডবোর্ডে তাদের ইতালির উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
লিবিয়ার বেনগাজি উপকূল থেকে রওনা দেওয়া স্পিডবোর্ডগুলো কিছুদূর যাওয়ার পরই লিবিয়ার কোস্টগার্ড আটক করে। প্রথম দুই স্পিডবোর্ড থেকে গৌরনদীর ৫৮ যুবকসহ ৭০ বাংলাদেশি এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আটক হওয়া আরেকটি বোর্ড থেকে আরও ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মানবপাচারকারী জাকির মোল্লা ও কুষ্টিয়ার লিটন মুঠোফোনে জানান, তিনটি স্পিডবোর্ডে আটক হওয়া ১০৮ জনকেই বাংকিনা কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়েছে। তারা এখন লিবিয়ার মনোনীত ব্যক্তিদের হেফাজতে আছেন। অভিভাবকদের সম্মতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে- যদি তারা ইতালি বা বাংলাদেশে ফিরতে চান, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।