
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রামনাবাদ নদী পারাপারে খেয়া মাঝি দিয়ে খাস আদায়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) হরিদেবপুর থেকে গলাচিপা খেয়াঘাটে জেলা পরিষদের প্রতিনিধি মো. সুলতান খান ও সমির চন্দ্র পালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা স্থানীয় খেয়া মাঝিদের সহায়তায় খাস আদায় করছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, পারাপারের জন্য নির্ধারিত খাসের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেলসহ যাত্রী পারাপারে নির্ধারিত ২০ টাকা থাকলেও এখন ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যাত্রীসহ মোটরসাইকেল পারাপারে ৪০–৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রিজার্ভ পারাপারে জনপ্রতি ১০ টাকা খাস আদায় হওয়ার পরও ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রাত ১০টার পর প্রতিটি খেয়ায় যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ভারী মালামাল পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ দিতে হচ্ছে।
সাধারণ যাত্রী ও খেয়াঘাটের কিছু মাঝি বলেন, পূর্বের ইজারাদার শিবু লাল দাসের সময় অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়নি। তেলও সরাসরি ইজারাদারের কাছ থেকে পাওয়া যেত। এখন নিজে কিনে খেয়া নৌকা চালাতে হচ্ছে।
মো. সুলতান খান ও সমির চন্দ্র পাল জানান, বৃহস্পতিবার খাস আদায় ৫০–৫২ হাজার টাকা হয়েছে। কিন্তু টাকা কোথায় জমা রাখা হয়েছে, তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তারা জানালেন, অফিসের উচ্চমান সহকারী শামীম ও সার্ভেয়ার হাসানের পরামর্শে টাকা তাদের বাসায় রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সার্ভেয়ার হাসান বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।