
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, বাগেরহাট
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নামল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম নতুন করে ৩ দিনের হরতালসহ ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও জেলার মহাসড়কগুলোতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়। এতে মোংলা-খুলনা, মোংলা-ঢাকা, খুলনা-বরিশাল-পটুয়াখালীসহ অন্তত ৬টি রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ৩০টির বেশি পয়েন্টে টায়ার জ্বালানো ও গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে পিকেটাররা।
ফলে মোংলা সমুদ্রবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। জেলার বিসিক, ইপিজেড ও শিল্পাঞ্চলের কলকারখানায় কাজ হয়নি। দোকানপাট, ব্যাংক, বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল। হরতালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্মীরা। মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে ফেরি চলাচলও বন্ধ ছিল।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এম এ সালাম জানান, নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রবিবার সব সরকারি অফিস-আদালত ঘেরাও করে অবস্থান, সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার পূর্ণদিবস হরতাল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চার আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো আপত্তি জানালেও ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেটে তিনটি আসন রাখার সিদ্ধান্ত দেয় ইসি। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে জেলার সর্বস্তরে।