
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটচুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিখোঁজের দুই দিন পর সবুজ হাওলাদার (২৩) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আট ঘণ্টার মধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ভিকটিমের মোবাইলও। গ্রেফতারকৃত দু’জনই নিহত সবুজ হাওলাদারের বন্ধু। ইতোমধ্যে হত্যার দায় তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে মহিপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপঝাড় থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সবুজ কুয়াকাটা পৌরসভার শরীফপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মৃতদেহ উদ্ধারের পরদিন শনিবার ভোররাতে লাল চাঁন (২৪) নামের একজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে অপর আসামি বেল্লালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে মহিপুর থানায় এ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) সমীর সরকার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন।
পুলিশ আরও জানায়, মোবাইল গেম ও আড্ডার মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে লাল চাঁন, বেল্লাল ও সবুজের। ঘটনার দিন সবুজ লাল চাঁনের মোবাইলে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে নিজের মোবাইলে লাল চাঁনের শরীরের ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
পরিকল্পিতভাবে রাত সোয়া ১টার দিকে তারা সবুজকে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে লাশটি ওই পরিত্যক্ত বাড়িটিতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
লাল চাঁনের ঘর থেকে সবুজের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। হত্যার পেছনে টাকা-পয়সা ও ভিডিও সংক্রান্ত বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সবুজের বাবা আবুল বসার হাওলাদার বাদী হয়ে মহিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।