কার্যকর উদ্যোগ নেই পৌরসভার আমতলীর ডোবা-নালা এখন মশার আতুরঘর

হোম পেজ » বরগুনা » কার্যকর উদ্যোগ নেই পৌরসভার আমতলীর ডোবা-নালা এখন মশার আতুরঘর
শনিবার ● ২৮ জুন ২০২৫


 

এমন মশার ভাগার আমতলীর বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান রয়েছে।

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

আমতলী পৌরসভার শতাধিক ডোবা-নালা দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এসব জায়গায় জমে থাকা পচা পানি ও ময়লা-আবর্জনায় মশা-মাছির উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। পৌরবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

 

পৌরবাসীরা জানান, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌরসভা গঠনের পর থেকেই ডোবা-নালাগুলোর অবস্থা অবনতির দিকে গেছে। গত ২৭ বছরে এসব পরিস্কারের ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

 

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসের চারপাশের লেক, এমইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন লেক, সবুজবাগ, চাওড়া, খোন্তাকাটা, বকুলনেছা মহিলা কলেজ এবং আমতলী সরকারি কলেজের পাশের ডোবা-নালাগুলোতে স্তূপাকারে জমে আছে আবর্জনা। পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে মশা ও মাছির উৎপাত।

 

মিঠাবাজার এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া জানান, “বড় বড় মশার উপদ্রবে ঘরে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। পৌরসভাকে জানানো হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।”

 

সবুজবাগের গোপাল মাঝি বলেন, “ডোবার পানি পঁচে যাচ্ছে, এতে মশা-মাছির উৎপাত বাড়ছে। পরিবেশ দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে।”

 

খোন্তাকাটার ইউসুফ আলী জানান, “মশার যন্ত্রণায় ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পৌরসভা মশা তাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।”

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, “পরিত্যক্ত ডোবা-নালাগুলো পরিস্কার করে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ফগার মেশিন ব্যবহার করে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ডোবা-নালা পরিষ্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

 

স্থানীয়রা দ্রুত ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার করে মশার উপদ্রব কমাতে পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি জরুরি উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৫:৪৬ ● ৯৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ