
গলাচিপা(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গলাচিপা পৌরসভার কর্মকার পট্টি রোডে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাবুল কর্মকার ভাড়াটিয়া সেজে দোকান ঘরে ঢুকে মালিকানা দাবি করে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে ঘরের মালিক পুষ্প রানী কয়েক দিন আগে তাকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবু দত্ত বলেন, পুষ্প রানী ১৯৭৩ সাল হতে ডিসিআর সূত্রে মালিক ওই জমিতে দোকান ঘর তুলে ভোগ দখল করে আসছেন। সেই ভোগ দখলীয় জমিতে একটি দোকানঘর নির্মাণ করে তিনি চুক্তিভিত্তিক ভাড়া প্রদান করেন। ভাড়াটি বাবুল কর্মকারের ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তারা ভাড়া দিতে প্রায় ১৭ বছর ধরে টালবাহানা করেন। এর মধ্যে দোকানঘরের মালিক পুষ্প রানী ভাড়াটিয়া বাবুল কর্মকারকে দোকান ছেড়ে দিতে বললে আজ-কাল বলে সে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। এ বিষয়ে তাকে অনেক বার তাগদা দেয়া সত্ত্বেও তারা ঘর ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে নিরুপয় হয়ে সহকারি কামিশনার ভূমি বরাবরে আবেদন করেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন করেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো তদন্তে দেখা যায় গলাচিপা মৌজার জেএল ১০৮ নম্বর রতনদী মৌজার এসএ ৫৬৮ নং খতিয়ানের ২৩২ নম্বর দাগের ১৮২, ১৪৫৬ ও ১৭০ বর্গ ফুট জমি স্থানীয় পুষ্প রানী জং মৃতু- মাখন লাল কর্মকর্তাকে গত ৭-১১-২৪ ও ৩১-১২-২৪ খ্রিঃ তারিখে ইজারা প্রদান করা হয়। ইজারা গ্রহীতা পুষ্প রানী উক্ত জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন। তবে বাবুল কর্মকার পিং মৃতু অমূল্য চন্দ্র কর্মকার, সাং- কর্মকার পট্টি পুষ্প রানী ঘরের এক কোণে দোকান ঘর হিসেবে ব্যবহার করে কোন একসময়ে ইজারা গ্রহীতা পুষ্প রানীকে ঘর মালিক মেনে একটি চুক্তিপত্রে বর্তমান ভারাটিয়া বাবুল কর্মকার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অশিম কর্মকার ও স্বর্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাদল কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ইজারা গ্রহীতা পুষ্প রানী এই ঘরের মালিক ৭৩ সাল থেকে তিনি ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন বাবুল কর্মকার পিতা-মৃত্যু অমূল্য কর্মকার একটি চুক্তিপত্র অনুযায়ীই দোকান ঘর ভারা নেন। এখন তিনি তার গায়ের জোড়ে ভাড়াটিয়া মালিক হতে চন এটা বেআইনী। আমরা এর একটি সুষ্ট সমাধান চাই। পুষ্প রানী একটি অসহায় পরিবার তার ঘর তাকে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আমরা কর্মকার পট্টির সমস্ত ব্যাবসায়ীরা জোর দাবি জানাই।
এসআর/এমআর