গোপালগঞ্জে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ!

প্রথম পাতা » ঢাকা » গোপালগঞ্জে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ!
শুক্রবার ● ১০ মে ২০১৯


শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার আত্মীয় স্বজনদের দেখা যাচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ বছরে এক শিশু শিক্ষার্থী। সে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী মডার্ন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শিশুটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিশুর মা বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা জানান, ১০ দিন আগে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ভাইবাড়ি কুশলী মধ্যপাড়া বেড়াতে যাই। বৃহস্পতিবার ইফতারী শেষে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যাই। এসময় আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে খেলছিল। বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে আমার সম্পর্কে চাচাত ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন ফকির আমার মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় মেয়েকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। আমি পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করে। তখন আমার মেয়ে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে। এবং ঘটনাটি খুলে বলে।
ওই শিশুর মামা আশিক ফকির বলেন, আমার মা একা বাড়িতে থাকেন। আমরা কেউই বাড়িতে থাকি না। ১০ দিন আগে আমার বোন তার মেয়েকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার আমার ভগ্নিকে বাড়িতে একটা পেয়ে মিল্টন কৌশলে ডেকে নিয়ে তাদের নির্মানাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভাগ্নিকে হাসপাতালে নেয়ার সময় ধর্ষকের পরিবারের লোকজন আমার বোনকে বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাত ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আমরা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসি। আশিক অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোন ডাক্তার আমার ভাগ্নিকে চিকিৎসা দেয়নি।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনালের হাসপাতালে সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক বলেন, টুঙ্গিপাড়ার ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষণের আলামত নিয়ে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হবে।
টুঙ্গিপাড়া থানার এস আই মনির হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর জিজ্ঞাবাদের জন্য অভিযুক্ত মিল্টন ফকিরের মা ও বোনসহ ৪ জনকে আটক করেছি। মিল্টন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:১৫ ● ৪১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ