চরফ্যাশনে ৩শিক্ষকের সনদই জাল

প্রথম পাতা » ভোলা » চরফ্যাশনে ৩শিক্ষকের সনদই জাল
শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৯


চরফ্যাশনে ৩শিক্ষকের সনদই জাল

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষকের মধ্যে ৩জনের সনদ জাল জালিয়াতি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে শরীর চর্চ্চা শিক্ষক কবির হোসেনের ডিগ্রী(¯œাতক), শরীর চর্চ্চা ও এনটিআরসি’র সনদ জাল রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি আনীত অভিযোগে তাদের সাময়িক বহিস্কার করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস, সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছাড়া বাকী সহকারী শিক্ষক শরীর চর্চ্চার কবির হোসেন, ধর্মীয় (ফাজিল) আঃ রহিম ও কৃষি ডিপ্লোমা আঃ আলী‘র সনদে জাল জালিয়াতি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কবির হোসেনের ডিগ্রী(স্মাতক) ও শরীর চর্চা রয়েল বিশ^বিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন। বিধিতে রয়েছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়সহ প্রাইভেট সনদ হলেও তার বৈধ অনুমোদন প্রয়োজন। এনটিআরটিএ‘র সনদ জাল প্রমাণীত হওয়ায় বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরটিএ‘র)সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন ১৩৪স্মারকে  প্রধান শিক্ষকের বরাবার সনদটি সঠিক নয়, ফলাফলের তালিকায় উক্ত রোল নেই বলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে বলা হয়েছে।
কবির হোসেন চরফকিরা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০১১সালের ১নভেম্বর যোগদান করে ১০৬৯২১১ইনডেক্সে বেতন ভাতা ভোগ করে আসছেন। বিগত ১৫ এপ্রিল/১৯ তারিখে কবির হোসেনকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সাময়িক বহিস্কার করেছেন। এদিকে  বিদ্যালয়ের ধর্মী (ফাজিল)শিক্ষক আঃ রহিম ১ফেব্রুয়ারী/২০০৫ সালে যোগদান করে ১০৪৭১৯৯ইনডেক্সে ও কৃষি শিক্ষক একই তারিখে যোগদান করে ১০৪৭২০০ইনডেক্স নম্বারে সরকারি অংশ বেতন ভাতা ভোগ করে আসছেন। কৃষি শিক্ষকের বিরুদ্ধে জণৈক মিজান নামক ব্যক্তি মাউশিতে ভূয়া সনদ বলে অভিযোগ করেছে। তার অনুলিপি প্রধান শিক্ষকের কাছে ডাকযোগে আসছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আঃ হক ঢাকায় অসুস্থ্য থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
সহকারী শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে ওই কাগজে কোন সময় বা দিন তারিখ দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা চলছে বলে ফোন কেটে দেন। ডিগ্রী(¯œাতক) ও শরীর চর্”চা সনদ রয়েল বিশ^বিদ্যালয় বিষয় ফোন দেয়া হলে তিনি এ প্রতিনিধি‘র সাথে কথা বলতে নারাজ। তার ভাই লোকমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে বলে ফোন কেটে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন,এ ৩ শিক্ষক সনদ নিয়ে জাল জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। মাউশি, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস, নির্বাহী কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে থাকি। কবির হোসেনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ঢাকায় অসুস্থ্য তিনি আসলে বাকীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের একজনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। বাকী ৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে প্রধান শিক্ষককে জানাতে বলা হয়েছে। লিখিত পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৯:০৩ ● ১৭৭৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ