আমতলীতে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাজে অনিয়ম!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাজে অনিয়ম!
সোমবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩


আমতলীতে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাজে অনিয়ম!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

আমতলী উপজেলায় আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদার আবুল হোসেন ও প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা  ১০ লক্ষ টাকার বরাদ্দে নামে মাত্র কাজ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন । এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুর্ভোগে পরেছে স্থানীয়রা।  দ্রুত ঠিকাদার ও প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্বু গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পে বিশেষ নির্বাচনী এলাকার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া দ্বীনিয়িা মাদ্রাসা হইতে জাহাঙ্গীর খান বাড়ী পর্যন্ত এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা নির্মাণে দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এ কাজ দেয় তার অনুগত আবুল হোসেন নামের এক ঠিকাদারকে। ঠিকাদার আবুল হোসেন প্রকল্প এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লাকে প্রকল্প সভাপতি করেন। অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সভাপতি ও ঠিকাদার মিলে নামে মাত্র কাজ করে ওই বরাদ্দ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তায় অল্প মাটি দিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাটি কম দেয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাস্তায় অল্প কিছু মাটি দিলেও তা সরে গেছে। সকল রাস্তা খাদায় পরিনত হয়েছে। মানুষের চলাচল অনুপোযোগী হয়ে গেছে। রাস্তায় দুই পাশে স্লেপ রাখা হয়নি। পুরাতন রাস্তার সাথে নতুন রাস্তা একাকার হয়ে গেছে। বোঝার অবকাশ নেই এ রাস্তায় মাটি দেয়া হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় আব্দুস ছালাম নাগর, মুরাদ হোসেন ও  মহসীন  বলেন, ঠিকাদারকেতো চোখেই দেখিনি। প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা ভেকু মেশিন দিয়ে কিছু মাটি রাস্তায় লেপটে দিয়েছে। বর্তমানে রাস্তার করুন দশা। রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছে না। রাস্তা খাদায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে স্লেপ রাখা হয়নি।
প্রকল্প সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা নামে মাত্র কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, ভেকু মেশিন দিয়ে ৬৪ ঘন্টা কাজ করেছি। প্রকল্পে যতটুকু রাস্তা ধরা ছিল তার চেয়ে বেশীও করেছি।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, এমপির বিশেষ বরাদ্দে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) প্রকল্পে কাজের ব্যপক অনিয়ম হয়েছে। নামমাত্র কাজ করেছেন প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা ও ঠিকাদার আবুল হোসেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বেশ ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমার ইউনিয়নে এমপি বরাদ্দ দেয় তা আমি জানিনা। তার পছন্দের লোকে নামেমাত্র কাজ করে টাকা তুলে নিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, কাজ শেষ হওয়ায় বরাদ্দকৃত টাকা  ছাড় দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার আবুল হোসেন ও প্রকল্প সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা টাকা তুলে নিয়েছেন। কিন্তু তার কাছে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন,এখনই খোঁজ নিচ্ছি,যথাযথভাবে কাজ না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৪:৩৩ ● ৮৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ