কুয়াকাটাকে জলবায়ু সহনশীল শহরে রূপান্তরে সভা

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটাকে জলবায়ু সহনশীল শহরে রূপান্তরে সভা
বুধবার ● ১৯ জুলাই ২০২৩


 

---

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥ 

কুায়াকাটা পৌরসভায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। এ জন্য পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সময়োপযোগী ভাবনার বিকল্প নেই। এর মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পৌরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ‘পৌরসভা পর্যায়ে অবহিতকরণ’ সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় অংশগ্রহণকারীরা এসব মন্তব্য করেন। কুয়াকাটায় অভিযোজনের মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল অভিবাসী বান্দব শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভাটি হয়। বুধবার বেলা ১১টায় কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলের অডিটরিয়ামে আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট মাইগ্র্যান্ট-ফ্রেন্ডলি থ্রু লোকালি-লেড অ্যাডাপটেশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের উদ্যোগে ওই সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, কুয়াকাটা পৌরসভাকে দূর্যোগসহনশীল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শহর জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা, লোকাল অ্যাডাপটেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা, নারী-শিশু ও যুবক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ, কাজের সুযোগ ও আয়বৃদ্ধিমূলক, আর্থিক অন্তর্ভূক্তি এবং সমাজিক নিরাপত্তার সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে কাজ করবে এই প্রকল্প। বিপদাপন্নতা ও ঝুঁকি নিরূপণ, ঝুঁকি অবহিতকরণ পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং তা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার এবং অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে কুয়াকাটা পৌরসভার কার্যক্রমকে গতিশীল ও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এই প্রকল্প ইতোমধ্যে কাজ শুরু করছে।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের আরবান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের হেড অব প্রোগ্রাম ইমামুল আজম শাহী, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক গ্লোবাল সেন্টার ফর অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) প্রতিনিধি শাহরিন মান্নান, কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক মো. হাচনাইন পারভেজ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।

প্রকল্প সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এ সমস্যাকে আরও ত্বরান্বিত করছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৩১.৫১ শতাংশ মানুষ উপকূলীয় শহরে বসবাস করে, যা ২০৫১ সালের মধ্যে ৫৮ শতাংশতে এসে পৌঁছতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৯:৩৫ ● ১০৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ