মির্জাগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদে ক্ষুব্ধ ইউপি চেয়ারম্যান

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » মির্জাগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদে ক্ষুব্ধ ইউপি চেয়ারম্যান
মঙ্গলবার ● ১১ এপ্রিল ২০২৩


মির্জাগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদে ক্ষুব্ধ ইউপি চেয়ারম্যান

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

হয়রানি মূলক অভিযোগ ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাশার নাসির হাওলাদার। মঙ্গলবার  সকাল ১০ টায় মির্জাগঞ্জ থানা সংলগ্ন আইনজীবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার নাসির লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাকে সম্পৃক্ত করে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । যেখানে  বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে এম.এ রাজ্জকে অপমান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ও তার বাড়ির ভিতরে আমার জমি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমূলক। প্রকৃতপক্ষে আর এক মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল  আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন  খলিলুর রহমান। সেখানে   উল্লেখ করেন, মো. খলিলুর রহমান মোল্লা ও তার ছেলে মো. জুয়েল মোল্লার নামে ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক জবর দখল করে আছেন। বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ- মিমাংসার লক্ষ্যে আমি উভয় পক্ষকে মৌখিকভাবে আমার অফিসে আসার জন্য অনুরোধ করি। গত ৩ এপ্রিল তারাবি নামাজের পরে উভয় পক্ষ আমার কাছে আসেন। উভয় পক্ষের জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের বক্তব্য শুনে উক্ত সমস্যা মিমাংসার জন্য চেষ্টা করি। সালিশ চলাকালীন এক-পর্যায়ে বাদী-বিদাদী তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমি উভয়পক্ষকে নিবৃত করার আপ্রাণ চেষ্টা করি। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক আমার প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ করেন এবং আমাকে দেখে নিবেন বলেও হুমকী প্রদান করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেন। ওইদিন সালিশ বৈঠকে উপস্থিত জুয়েল মোল্লা ও ইউপি সদস্য সরোয়ার হোসেন জানান- চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব এম. এ রাজ্জাক সাহেবকে অপমান করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওইদি কথাবার্তার এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা এম. এ রাজ্জাক সাহেব উত্তেজিত হলে কিছু ছেলে ওনাকে সরিয়ে রিক্সায় তুলে দেন।
মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান বলেন, মির্জাগঞ্জ মৌজার, ২০ নং খতিয়ানে, ১১৬৯ নং দাগের আমার ক্রয়কৃত জমির ৪.১৮ শতাংশ জমি জোরজরব দখলে করে রেখেছেন আমার আর এক মুক্তিযোদ্ধা ভাই রাজ্জাক সিকদার। এই নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করলে, তিনি আমাদের উভয় পক্ষ ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করলে রাজ্জাক ভাই তা না মেনে উল্টো চেয়ারম্যানের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আশালিন আচরণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ইউজি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৫:০২ ● ৭৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ