মির্জাগঞ্জে তৃণমূলের সমর্থণে যুবলীগের সভাপতি পদে এগিয়ে জালাল

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » মির্জাগঞ্জে তৃণমূলের সমর্থণে যুবলীগের সভাপতি পদে এগিয়ে জালাল
বৃহস্পতিবার ● ১ সেপ্টেম্বর ২০২২


মির্জাগঞ্জে তৃণমূলের সমর্থণে যুবলীগের সভাপতি জালাল

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার সম্মেলনের লক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নব নির্মিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আগামী ৩সেপ্টেম্বর যুবলীগের বর্ধিত সভা উপলেক্ষে মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদকে ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এবারের তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের নেতাকে সভাপতি নির্বাচিত করতে চান। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন সময় এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খুবই উজ্জীবিত। এর আগে ২০১৭ সালের উপজেলা যুবলীগের মো. জহিরুল ইসলাম লোটাসকে সভাপতি এবং মো. শফিকুল ইসলাম মহাসিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, জেলা যুবলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে গত দু’বছর আগে। বর্ধিত সভা ঘোষনা হবার পর থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক নিজেদের পোষ্টার ও ছবি দিয়ে পরিচিত করার চেষ্টা করছেন। কে কাকে পেছনে ফেলে সবার নজর কাটতে পারেন, সেই হবে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। এরপর কে হবে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে উঠছে উদ্বেগ, চলছে আলোচনা। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী তাদের পছন্দের নেতাকে উপজেলার সভাপতি পদে দেখতে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচারণা। এরমধ্যে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দারের নাম উঠে আসছে। তিনি যেমন সমাজ সেবক ও কর্মীবান্ধবও বটে। দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের প্রিয়মূখ হিসেবে পরিচিত মো. মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার। এবারের বর্ধিত সভায় তৃণমূলের রায়ে তিনি সভাপতি’র পদ পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাকে ঘিরেই এখন একাট্টা হচ্ছেন উপজেলার বিভন্ন ইউনিনের নেতাকর্মীরা। আসছে বর্ধিত সভায় কর্মীবান্ধব এ নেতাকে সভাপতি করার লক্ষ্যে উপজেলার নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও সরব রয়েছে তাঁর প্রচারণায়। উপজেলা সদরকে ঘিরে পোষ্টার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এ উপজেলার বেশির ভাগ নেতাকর্মীই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাসুদ রানা জালালকে সভাপতি হিসেবে দেখার জন্য মতামত ব্যক্ত করছেন। উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দলের নেতোকর্মী ও অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক এই যুবলীগ নেতা। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পথচারীসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। বর্তমানে দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দলের কর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসা, সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তাই উপজেলার তৃনমুলের সকল যুবলীগের নেতাকর্মীরা সভাপতি হিসেবে তাকেই দেখতে চায়। যুবলীগ কর্মী মো. রাজিব মৃধা বলেন,আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের দাবী, দলকে সুসংগঠিত করতে হলে মো. মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দারের মতো একজন দক্ষ, পরিচ্ছন্ন ও কর্মীবান্ধব যুবনেতাকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত কার প্রয়োজন। এখন তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে যুবলীগ আরো শক্তিশালী ও গতিশীল হবে। এ ব্যাপারে সভাপতি পদপ্রত্যাশী সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। ২০০৪ সালে সুবিদখালী কলেজের প্রস্তাবিত কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলাম,এরপরে ২০০৪-২০১২ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম,পরে ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন-আহবায়ক ছিলাম,পরে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। সরকারের দুঃসময়ের রাজপথের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলাম। বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতিতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয়ভাবে আছি। যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি। এখন দল আমার কর্মযজ্ঞকে মূল্যায়িত করে সভাপতি পদে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।


ইউজি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০২:৫৯ ● ১৭৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ