তালতলীতে ফুটবল খেলায় দর্শকদের সংঘর্ষে আহত-১৫

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে ফুটবল খেলায় দর্শকদের সংঘর্ষে আহত-১৫
মঙ্গলবার ● ১০ জুন ২০২৫


---

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার তালতলী উপজেলা ছোটবগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে নজরুল ডাকুয়া স্মৃতি সংসদ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত: ১৫জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত রুহুল আমিন গোলন্দাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেহেদী, হৃদয় ও রবিউলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে। এ ঘটনায় এলাকা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানাগেছে, উপজেলার ছোটবগী গ্রামের শাহীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবকরা নজরুল ডাকুয়া স্মৃতি সংসদ ফুটবল খেলার আয়োজন করে। খেলাটি বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার খেলার শেষ সময় খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে রাব্বি গোলন্দাজ ও মিরাজ আকনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়। কিš মিরাজ আকন এ মিমাংশা মেনে নিতে রাজি নয়। মারধরের খবর পেয়ে মিরাজ আকনের বাবা শহীদুল আকন ও হৃদয় শরীফের বাবা সোহরাফ শরীফ তাদের শতাধিক লোকজন নিয়ে রাব্বি ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দফায় দফায় চলে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে বগী বাজারে আতঙ্ক ঝড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। উভয় পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে রুহুল আমিন গোলন্দাজ (৩৬), বাদল গোলন্দাজ (৩৫), রাব্বি গোলন্দাজ (২২), শহীদুল হাওলাদার (২৩), আমানুল হাওলাদার (২২), দোলোয়ার হাওলাদার (৫০), শাহীন হাওলাদার (২৫), মিরাজ আকন (২৮), মেহেদী আকন (২৫),  রবিউল (২২), হৃদয় শরীফ (২২), সাব্বির আকন (১৮), রাকিবসহ (২৬) অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত রুহুল আমিন গোলন্দাজ, বাদল গোলন্দাজ ও রাব্বি গোলন্দাজ, মেহেদী, রবিউল ও হৃদয় শরীফকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা রুহুল আমিন গোলন্দাজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মেহেদী, হৃদয় ও রবিউলকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে দর্শকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বগী বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। এতে অনেক লোক আহত হয়েছে।
আহত বাদল গোলন্দাজ বলেন, সোহরাফ শরীফ ও শহীদুল আকনের লোকজন  অহেতুক আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আমার পকেটে থাকা ৩৫ হাজার দুই’শ ৬৫ টাকা তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে রাব্বির গলায় থাকা স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আমার পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আমি এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দাবী করছি।
সোহরাফ শরীফ বলেন, আমার ছেলে হৃদয় শরীফ ও শহীদুল আকনের ছেলে মিরাজকে বগী বাজারের স্থানীয় কয়েকজন ছেলে মারধর করেছে। আমি ও শহীদুল আকন এ বিষয়টি জানতে গেলে তারা আমাদের ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে ৫ জন আহত হয়েছে।
ছোটবগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির রিয়াজ বলেন, মাঠের বাহিরে বাজারের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। খেলার মাঠে কিছুই হয়নি। মারধর যারা যারা করেছে তা একান্তই তাদের বিষয়।
তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহজালাল বলেন, বিষয়টি জেনেছি।  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৩:০৫ ● ১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ