ছাতকে সীমান্তে শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » ছাতকে সীমান্তে শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন
বৃহস্পতিবার ● ১২ জুন ২০২৫


ছাতকে সীমান্তে শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন

ছাতক (সুনামগঞ্জ) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপি’র সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোর রাতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয় তাদের। এরপর তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল সদস্যরা। বিজিবি-৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট থানার কুলিয়াঘাট গ্রামের শামসুল আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩৫), তার স্ত্রী আরজিনা বেগম(২৮), ছেলে জাহিদ হাসান(১০), জাহিদুল ইসলাম(৬), মেয়ে ফৈরদৌসী(৪)। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গোগারকুটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন আলী(২৫) তার স্ত্রী ফজলে বেগম(২৩), ভাই শরীফুল ইসলাম(১৮), ছেলে ইব্রাহিম(১.৫), মেয়ে সুমাইয়া(৫)। একই জেলার নাগেশ্বরী থানার দেওয়ানীটাড়ী গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মহুবর আলী(৩০) তার স্ত্রী মনিরা বেগম(২২), মেয়ে মোর্শেদা খাতুন(৯), ছেলে মীর হোসেন(৩)। একই থানার মাস্টার পাড়া গ্রামের গোবিন্দ এর ছেলে মিঠুন চন্দ্র(২৪), তার স্ত্রী দীপ্তি (২২), মেয়ে তুলসী(২)।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫জন পুরুষ, ৪জন নারী এবং ৮জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং অধিকাংশই দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তারা বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত ছিলেন। আটক ১৭ জনের মধ্যে ১২জন কুড়িগ্রাম জেলার এবং ৫জন লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। তবে তারা কীভাবে ভারতে পৌঁছেছিল এবং দীর্ঘদিন কীভাবে অবস্থান করছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে। আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের পুশইন আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতিমালার পরিপন্থী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিবাসন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা থাকলেও, মাঝেমধ্যেই এমন একতরফা পুশইন ঘটছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে চাপ তৈরি করতে পারে।
এব্যপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুশইন করা ১৭জনকে এখনও থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। থানায় হস্তান্তর করার পরে উপজেলা প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এএমএল/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:১৭:২৮ ● ১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ