কলাপাড়ায় অলিখিত ষ্ট্যাম্পে প্রতিপক্ষের স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় অলিখিত ষ্ট্যাম্পে প্রতিপক্ষের স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য!
মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০২২


কলাপাড়ায় অলিখিত ষ্ট্যাম্পে প্রতিপক্ষের স্বাক্ষর নিলেন ইউপি সদস্য!

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে মারধর করে জোরপূর্বক অলিখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিগত ১১ জুন বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং সদস্য মহসিন হাওলাদার তার বাড়ির সামনে এমন কান্ড ঘটান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওয়াবদুল ইসলাম বাদল তালুকদার ওই ইউপি সদস্য ও  মো: ইমরুল হাওলাদারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ঘটনার দিন তিনি বাড়ি থেকে স্থানীয় বাবলাতলা বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী মহসিনের বাড়ির সম্মূখ্যে তার পথের গতি রোধ করে টানা হেচরা করিয়া মেম্বারের ঘরের ভিতর আটকিয়ে  তাকে মারধর শুরু করেন মহসিন ইমরুলসহ আরো ৪/৫ জন। এসময় প্রানে মারার ভয় দেখিয়ে ১’শ টাকা মূল্য মানের অলিখিত ৪টি জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন জবরদস্তকারীরা। ভুক্তভোগী বাদল তালুকদার জানান, কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে মারধর শুরু করে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার কাছ থেকে অলিখিত স্ট্যাম্পে জোড়পূর্বক স্বাক্ষর নেয় মহসিন ও তার লোকজন। পরে আমি একধিকবার তার কাছে স্ট্যাম্প ফেরত চাইলেও তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করেন। যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, মহসিন একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও ভংয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ। তিনি বলেন,জোড়পূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে নেয়া অলিখিত স্ট্যাম্প দিয়ে আমার নামীয় জমীজমা লিখিয়া নিবে বা মূল্যবান জামানত সৃষ্টিসহ যেকোন সময় তার বড় ধরনের ক্ষতি সাধনের সঙ্কায় রয়েছেন তিনি। মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্ট্যাম্প উদ্ধারসহ ন্যায় বিচারের লক্ষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই ভুক্তভোগী।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মহসিন হাওলাদার বলেন, বাদল তালুকদারের কাছ থেকে আমি,স্ট্যাম্প রাখিনি। আমার সাথে তার সাথে কোন ঝামেলা নেই। তিনি তো স্ট্যাম্প রাখার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাছাড়া অন্য কেউ স্ট্যাম্প রেখেছে বলে তদন্ত করার দাবী জানান তিনি।
কলাপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন জানান, বিষয়টি গুরুত্বেও সাথে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এমবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৪:৩৫ ● ১৬৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ