কলাপাড়ায় আ’লীগে বহুধাবিভক্তি, পৌর ও ৫ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হার

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় আ’লীগে বহুধাবিভক্তি, পৌর ও ৫ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হার
মঙ্গলবার ● ২৪ মে ২০২২


কলাপাড়ায় আ’লীগে বহুধাবিভক্তি, পৌর ও ৫ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হার

মেজবাহউদ্দিন মাননু,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

কলাপাড়ায় সরকারি দল উপজেলা আওয়ামী লীগ এখন বহুধাবিভক্ত। দলটির খোদ নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের নেতিবাচক দিক তুলে ধরছেন। ফলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে সমর্থক পর্যায়ে। দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতা এ কারণে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছে। এ সুযোগে এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানী লোকজন দলের মধ্যে ঢুকে গেছে। হাইব্রিড নামের এই নেতারা এখন সালিশ, সুদের ব্যবসা, অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করছে। ইজারার নামে হাটবাজারে খাজনা আদায়ের নামেও চলছে চাঁদাবাজি। এমনকি পানি নিষ্কাশনের স্লুইসগেট দখল করে মাছ শিকার করতে পর্যন্ত পিছপা হয়নি। এনিয়ে সশস্ত্র সংঘাত হয়েছে একাধিক বার। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিপক্ষরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্র লীগের নেতা রাকিবুল ইসলাম কে। আওয়ামী লীগের দূর্গখ্যাত কলাপাড়ায় এখন দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রশ্নের মুখোমুখি। আর এর চরম খেসারতও  দিতে হয়েছে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে।
ধানখালী, লালুয়া, মহিপুর, কুয়াকাটা পৌরসভা, টিয়াখালী ও চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী। তৃণমূলের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা জানান দলের গ্রহণ যোগ্য,  জনপ্রিয় প্রার্থী বাদ দিয়ে নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করতে হেন কোনো কর্ম নাই যা করছেন না। আর এখন সংসদীয় নির্বাচন কে ঘিরে নিজেদের মধ্যে চলছে কাঁদা ছোড়া ছুড়ি। বর্তমানে ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের কার্যক্রম চলছে। একটিতে দলের ত্যাগী নেতা মনোনয়ন পেলেও ধুলাসার ইউনিয়ন এলাকায় এক নতুন মুখ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন।  আর এ কারণে সেখানে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখানে প্রকটভাবে দেখা গেছে। কর্মী সমর্থকসহ ভোটারও বহুধাবিভক্ত হয়ে আছে। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে কোন্দল নিরসন করতে না পারলে চরম খেসারত দেয়ার আশঙ্কার কথা জানালেন ভোটাররা। আর এসব দলীয় কোন্দল জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে এর নেতিবাচক প্রভাব প্রকট হবে আগামী সংসদ নির্বাচনে। কারন বরিশালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দেশের একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসনটিতে বিএনপি ইতোমধ্যে সব কটি ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে। আর সরকারি দলের নেতাকর্মীরা রয়েছে বহুধাবিভক্ত। তাই এখনই সরকারের নিজস্ব এবং গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে অপকর্মে লিপ্ত নেতাদের শক্ত হাতে দমনের জন্য সাধারণ মানুষসহ দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৭:৩৬ ● ১২৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ