‘টিহা দেতে পাইর্যা মুই ব্যামালা খুশি’
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
‘টিহা দেতে পাইর্যা মুই ব্যামালা খুশি’
আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বুড়া বয়সে মুই টিহা দিমু হেইয়্যা চিন্তাও হরি নাই। মুই করোনার টিহা দিছি। টিহা দেতে পাইর্যা মুই ব্যামালা খুশি। হুনছি টিহা দেতে এ্যাকছেন ডর কিন্তু মুইতো কোন ডর ও ব্যাতা পাই নাই। আল্লায় যে কয়দিন ব্যাচাইয়্যা রাহে মুই ভালো থাকদে পারমু। মুই শেখের বেটির লইগ্ন্যা দোয়া হরি। হে মোগো টিহা দেছে। খুশি মনে এমন কথা বলেন, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃতঞ্জয় গ্রামের ১০৫ বছর বয়সী মোঃ আলম শরীফ।
জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকার গণটিকার আয়োজন করেছে। আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২১ টি বুথে এ টিকার দেয়া হয়। প্রত্যেক বুথে ২’শ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। শনিবার দুপুরে কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখাগেছে, মানুষ উৎসবের আমেজে টিকা দিতে কেন্দ্রে আসছেন। ওই কেন্দ্রে হরিমৃতঞ্জয় গ্রামের ১০৫ বছর বয়সি মোঃ আলম শরীফ তার ছেলের সাথে লাঠি ভর দিয়ে টিকা দিতে এসেছেন। একই গ্রামের ৭৫ বছর বয়সি আনোয়ার হোসেন টিকা দিয়েছেন। বৈরাগীর হাওলা গ্রামের শত বছর বয়সি রুস্তম ফরাজী লাঠি ভর করে নিজেই টিকা দিতে এসেছেন। তিনি খুশি মনে বলেন, টিহা চিছি মোর ভালোই লাগছে। কোন ব্যাতা পাইনাই। চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার মোর ধারেই আললে।একই কেন্দ্রে বৃদ্ধ বিধবা রাবেয়া খাতুন বলেন, মুই টিহা দিমু। হেইয়্যার লইগ্যা আইছি। মোর ভাললাগযে।
শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে তিন’শ মানুষ টিকা গ্রহন করেছেন। মানুষ উৎসবের আমেজে টিকা নিচ্ছেন।
কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই কষ্টের ফসল প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষায় গণটিকা দেয়া। তিনি আরো বলেন, মানুষ মনের আনন্দে কেন্দ্রে এসে টিকা নিচ্ছেন। মনে হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে ঈদের আমেজ চলছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, খুব ভালো ভাবেই টিকা কার্যক্রম চলছে। মানুষ উৎসবের আমেজে কেন্দ্রে এসে টিকা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৪:৩৪ ●
১২৪১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)