গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর গলাচিপায় অমাবশ্যায় রামনাবাদ পাড়ের মানুষ পানিবন্দী-অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাসছে। রামনাবাদ পাড়ের হাজারো পরিবারের বাড়িঘর, উঠোন, রাস্তা সব ভাসছে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে। এখানকার ফেরিঘাট, খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট, আবাসন প্রকল্পসহ প্রায় জনপদ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা এ জনপদের গোলখালী, চরকাজল, চরবিশ^াসের কয়েকটি গ্রামের পরিবার চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। বর্ষা শুরুর থেকে অমাবস্যা-পুর্ণিমার সময়ের টানা ৫-৭ দিনের দুর্ভোগ থাকছে এসব মানুষের। অনেকের দিন চলে অনাহার অর্ধাহারে। অধিকাংশের রান্না চলে আলগা চুলায়। পানিবন্দীদশা কাটছেনা এসব পরিবারের। এসব মানুষ জানান, বৃহস্পতিবারের জোয়ারের মতো এতো পানি কখনও তারা আগে দেখেননি। ইউপি সদস্য মো. মনির হাওলাদার জানান, বাড়ি ঘরে থাকার কায়দা নাই। শতশত পরিবার চৌকির ওপওে রান্না করছে। সব সময় পানিবন্দী থাকছে গ্রামের মানুষ। ঘর থেকে বের হলেও খরচ লাগে। চলাচল করতে হয় নৌকায়। গলাচিপা পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধের বাইরের প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার পরিবার গত ছয় দিনধরে প্রত্যেক দিন দুই দফা অস্বাভাবিক জোয়ারের কবলে পড়ছেন। চরকাজল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান জানান, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডেও জরুরি ভাবে নির্মাণ করা বিকল্প বেড়িবাঁধের দুই জায়গায় রিভার সাইটের স্লোপসহ মূলবাঁধের অর্ধেকটা অস্বাভাবিক জোয়ারের ঝাপটায় ভেঙ্গে গেছে। মানুষ এখন ওই বাঁধ সম্পুর্ণ ভেসে জলোচ্ছ্বাস হানা দেয়ার শঙ্কায় পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান জানান, রামনাবাদ পাড়ের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে করা বাঁধের যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এসডি/এমআর