আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার খাদ্য গুদামের আমন মৌসুমের নতুন ধান নিয়ে খান জাহান আলী রাইস মিল মালিক নাসিমা বেগম পুরান চাল খাদ্য গুদামে সরবরাহ করেছেন। গুদাম কর্তৃপক্ষ মিল মালিকের এমন কারসাজি ধরে ওই চাল ফিরিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় আমতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সকলের মুখে মুখে নতুন ধানে পুরাতন চাল। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আমতলী খাদ্য গুদামে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদামে আমন মৌসুমে ২ হাজার ৯১ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ পায়। ওই বরাদ্দকৃত ধানের মধ্যে ইতিমধ্যে খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ ১১’শ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করেছে। ওই ধান থেকে চাল তৈরির জন্য আমতলী উপজেলার ফাতেমা অটো রাইস মিল, ছত্তার মৃধা রাইস মিল, খানজাহান আলী রাইস মিল ও রাকিব রাইস মিলের নামে ধান বরাদ্দ দেয় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে খানজাহান আলী রাইস মিল ৩০ মেট্রিক টন, ছত্তার মৃধা রাইস মিল ৩০ মেট্রিক টন ও রাকিব রাইস মিল ২৫ মেট্রিক টন ধান মিলিং’র জন্য বরাদ্দ নেয়। তিনটি রাইস মিল মালিক সঠিক নিয়মে গুদামের ধানের চাল গুদামে সরবরাহ করেছেন। মঙ্গলবার খানজাহান আলী রাইস মিল খাদ্য গুদামে ৯.৭৫ মেট্রিক টন আমন ধানের চাল নিয়ে আসে। খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ওই চাল পরিক্ষা করে দেখতে পায় গুদাম থেকে সরবরাহকৃত আমন ধানের চাল নয়। ওই চালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে পুরাতন চাল রয়েছে। পরে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ওই চাল মিল মালিককে ফেরত দিয়েছেন। এ ঘটনায় আমতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মুখে মুখে নতুন ধানে পুরাতন চাল।
খানজাহান আলী রাইস মিলের ম্যানেজার হারুন মিয়া বলেন, খাদ্য গুদামের সরবরাহকৃত ধান থেকে মিলিং করে চাল নিয়ে এসেছি। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ পুরাতন চাল মিক্স আছে বলে রাখেননি।
আমতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রবীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খানজাহান আলী রাইস মিলের সরবরাহকৃত চাল পরীক্ষা করে পুরাতন চাল পাওয়া গেছে। তাই ওই চাল ফেরত দিয়েছি।
আমতলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, খানজাহান আলী রাইস মিলে খাদ্য গুদাম থেকে যে আমন ধান সরবরাহ করা হয়েছিল ওই ধানের চাল দেয়নি। মিল কর্তৃপক্ষ ছয় মাসের পুরাতন চাল মিশিয়ে গুদামে নিয়ে এসেছে। পরীক্ষার করে মিলের কারসাজি ধরে ফেলেছি। এটা অত্যন্ত জঘন্য। ওই মিলের নামে আর কোন ধান মিলিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর