সিডরের ১৮ বছর পটুয়াখালী-বরগুনায় ভয়াবহ প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ এখনও স্পষ্ট
হোম পেজ »
পটুয়াখালী »
সিডরের ১৮ বছর পটুয়াখালী-বরগুনায় ভয়াবহ প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ এখনও স্পষ্ট

সাগরকন্যা নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৭ সালের আজকের এই দিনে, ১৫ নভেম্বর রাত ৯টায় পটুয়াখালী-বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন সিডর। ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাস উপকূলজুড়ে সৃষ্টি করে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ।
পটুয়াখালী জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ে ৬৭৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয় প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ। গুরুতর আহতদের মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ স্থায়ী প্রতিবন্ধী হয়ে এখনও জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনো অর্ধশতাধিক নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি বলে পরিবারগুলো জানায়।
পটুয়াখালীতে সিডর বিধ্বস্ত করে ৫৫ হাজার ঘরবাড়ি, দেড় হাজার মসজিদ-মন্দির, এবং ৩৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নষ্ট হয় প্রায় ৫ লাখ একর ফসলি জমি ও ২৫০ হেক্টর বনভূমি। মারা যায় প্রায় ১৮ হাজার গবাদিপশু। ভেঙে যায় ৪১২টি ড্রেনেজ স্লুইজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকশ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
অন্যদিকে প্রতিবেশী বরগুনা জেলা ছিল সিডরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। জেলায় ৪২৩ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায় বিভিন্ন সরকারি-স্থানীয় প্রতিবেদনে। অসংখ্য মানুষ আহত হন এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। মাঠভরা কৃষিজমি লবণাক্ততায় নষ্ট হয়ে পড়ে এবং উপকূলীয় চরাঞ্চলে জীবনযাত্রা দীর্ঘ সময় অচল হয়ে যায়।
১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও পটুয়াখালী ও বরগুনার বিস্তীর্ণ এলাকায় বেড়িবাঁধ এখনও অরক্ষিতই রয়ে গেছে। বহু চরাঞ্চলে এখনো পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ হয়নি, ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের নিরাপত্তা আজও নিশ্চিত হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।
এনইউবি/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৪:১১ ●
২৫ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)