
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজোলায় এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সবচেয়ে ভালো করেছে উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজ থেকে এবার ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে। তার মধ্যে পাশ করেছে ২২৫ জন। এ কলেজ থেকে মানবিক শাখায় ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৮৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা হেরেন বলেন, ‘আমি কলেজে যোগদান করার পরই কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ করে শ্রেণি কক্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের গাইড টিচার দিয়ে তদারকি করা ছিল এর মধ্যে অন্যতম। এমনকি শিক্ষার্থীরা বাড়িতে পড়াশোনা করে কী না, তাও যথাসম্ভব খোঁজ নিয়েছি। এরকম কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করার কারণে এ বছর পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে।’
ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা যায় সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে উপজেলার ধানখালী ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজ থেকে ৮২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ২২ জন। এ কলেজের পাশের হার ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
ফলাফল বিবেচনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পাশ করেছেন ১২৮ জন। এ কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় ১ জন এবং মানবিক শাখায় ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পাশের হার ৭১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
ফলাফলে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডালবুগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে ৩৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পাশ করেছেন ২২ জন। পাশের হার ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
ফলাফলে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজের ২১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রন করেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ১২৭ জন। এ কলেজ থেকে মানবিক শাখায় ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পাশের হার ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ ফলাফলে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। এ কলেজের ২০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পাশ করেছেন ৭৭ জন। মানবিক শাখা থেকে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পাশের হার ৩৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
ফলাফলে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে মহিপুর থানা সদরের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ। এ কলেজের ৮৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। এর মধ্যে পাশ করেছেন ৩০ জন। পাশের হার ৩৫ দশমিক ২৯।
ধানখালী ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শিক্ষকদের যথাসাধ্য চেষ্টা ছিল ক্লাস নিশ্চিত করাসহ ভালো ফলাফলের জন্য। শিক্ষার্থীরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা কী, গ্রামের পরিবেশে শিক্ষার্থীরা থাকে। অনেক রকম সমস্যা মোকাবেলা করে গ্রামের শিক্ষার্থীদের চলতে হয়। এসব কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
এমইউএম/এমআর