
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলীতে চাঁদা না দিলে মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষী বানিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হাওলাদারের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন- আবু সালেহ খান, মনির মৃধা, জহিরুল প্যাদা, আনোয়ার মৃধা, মিরাজ, রফিক মাদবর ও জুয়েল গাজী। তারা দ্রুত তদন্ত করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জাহাঙ্গীর হাওলাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে নাচনাপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার আলী হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদার এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, সালিস বাণিজ্য, মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষী বানিয়ে হয়রানিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। কোনো ঘটনা ঘটলেই তিনি বা তার ছেলে সোহেল হাওলাদার মামলার স্বাক্ষী হয়ে যান। পরে স্বাক্ষী দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিবাদীদের কাছ থেকে টাকা নেন।
অভিযোগকারীরা আরও জানান, গত এক বছরে নাচনাপাড়া এলাকায় দায়ের হওয়া প্রায় সব মামলায় জাহাঙ্গীর, তার ছেলে সোহেল ও পরিবারের অন্য সদস্যরা স্বাক্ষী হয়েছেন। সম্প্রতি ১১ সেপ্টেম্বর তিনি নিজেই আবু সালেহ খানসহ ছয়জনের নামে দোকান ও ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য-সচিব তুহিন মৃধা বলেন, জাহাঙ্গীর হাওলাদারের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, দোকান ও ঘর পোড়ানোর অভিযোগে জাহাঙ্গীর থানায় মামলা করতে এলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।