মাদ্রাসার খাবার সাবাড় আমতলীতে সেই বিএনপি নেতা মাহবুব কাজীকে শোকজ

হোম পেজ » বরগুনা » মাদ্রাসার খাবার সাবাড় আমতলীতে সেই বিএনপি নেতা মাহবুব কাজীকে শোকজ
শুক্রবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫


 

মাদ্রাসায় দাওয়াত না দেওয়ায় খাবার খেয়ে ফেলার ঘটনায় শালিস বৈঠকে কথা বলছেন ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. জসিম উদ্দিন

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, আমতলী (বরগুনা)

দেশব্যাপী আলোচিত আমতলীর মাদ্রাসায় খাবার খাওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা মাহবুব কাজীকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে। গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুব কাজীকে বৃহস্পতিবার রাতে এ নোটিশ দেয়া হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি ও সদস্য সচিব তুহিন মৃধা স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন শালিস বৈঠক করেছেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আলী হোসেন এ অভিযোগ করেন।

ঘটনাটি ঘটে ১১ সেপ্টেম্বর। সেদিন গুলিশাখালী ন.ম.ম আমজাদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভায় অতিথিদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কমিটিতে পছন্দসই সভাপতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি নেতারা খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেন বলে অভিযোগ। এতে প্রায় ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন।

মাদ্রাসা শিক্ষকরা জানান, নেতাকর্মীরা খাবারের পাত্রে উচ্ছিষ্ট ও নোংরা পানি ফেলে রাখেন, যাতে অতিথিরা খেতে না পারেন। পরে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ঘটনার চার দিন পর পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে বিএনপির ভেতরে চাপ বাড়ে। এরপর ঘটনার ধামাচাপা দিতে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আকন শালিস বৈঠকে বসেন। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।

সহকারী শিক্ষক মিজানুর মাদবর জানান, খাবার নষ্ট করার ঘটনায় মাহবুব কাজী ও রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিপন কাজী নিজেই ছবিসহ পোস্ট দেন।

মাহবুব কাজী দাবি করেন, তিনি এখনো কোনো লিখিত নোটিশ পাননি, তবে মৌখিকভাবে শুনেছেন। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি ফজলুল হকের অনুরোধেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, মাহবুব কাজী দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাই সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শোকজ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৭:০০ ● ৩১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ