
সাগরকন্যা প্রতিবেদক, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ১১০ কোটি টাকার খনিজ বালি ও পাথর সরাতে সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নিলামের আড়ালে সরকারি মূল্য, ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকি দিয়ে এসব খনিজ সরানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ।
চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছে যুক্তরাজ্যে পলাতক সাবেক এমপি রনজিত চন্দ্র সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোতালেব ওরফে ‘পাথর মোতালেব’। তিনি তাহিরপুরের ছড়ারপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
সরজমিনে লাউড়গড় বাজারের বিভিন্ন পাড়াসহ নদীর তীরবর্তী এলাকা ও জঙ্গলে ডাম্পিং করে রাখা খনিজ বালি ও পাথরের বিশাল স্তুপ দেখা গেছে। এসব খনিজের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালি, ১০ লাখ ঘনফুট বোল্ডার ও ৭ লাখ ঘনফুট নুরী পাথর।
বিএমডির অসৎ কর্মকর্তা, কিছু পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এই সিন্ডিকেট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একাধিকবার নিলাম আয়োজন করা হয়। ২৩ জুলাই এবং ৩ আগস্টের নিলাম স্থগিত হলেও ফের আজ ৭ আগস্ট সুনামগঞ্জ ডিসি অফিসে নিলামের ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে সময় নিয়ে কাগজপত্র দেখিয়ে পুরো এলাকা থেকে চাঁদা তুলে পরে এসব খনিজ সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত করছে মোতালেব চক্র।
বিএমডির উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, মাত্র ১০,৭৪৩ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। অধিকাংশ খনিজ কেন জব্দ হয়নি, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে মহাপরিচালক আনোয়ারুল কবীরের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।