বৈশাখের শুরুতে ঝড়বৃষ্টি ও তাপদাহের পূর্বাভাস

প্রথম পাতা » আবহাওয়া » বৈশাখের শুরুতে ঝড়বৃষ্টি ও তাপদাহের পূর্বাভাস
বুধবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৯


বৈশাখের শুরুতে ঝড়বৃষ্টি ও তাপদাহের পূর্বাভাস

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপট শুরু হয়েছে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকেই। বৈশাখের শুরুতেও এমন আবহাওয়া থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলা পঞ্জিকার চৈত্রের শেষার্ধ আর বৈশাখের প্রথমার্ধ মিলিয়ে এপ্রিল মাস। এ মাসে দুই থেকে তিনটি তীব্র কালবৈশাখী, পাঁচ-ছয়দিন বজ্রঝড় এবং দুয়েক দফা তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, এপ্রিল-মে মাসের উ আবহাওয়ায় কালবৈশাখী, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখীর দাপট বেশি। এমন সময়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানো ও ঘন ঘন বজ্রপাতের মত পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সপ্তাহের রবি ও মঙ্গলবার দুই দফা কালবৈশাখী বয়ে গেছে। মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে রোববার ঢাকায় ভবন থেকে ইট পড়ে দুজন, দেয়াল ধসে একজন এবং গাছ ভেঙে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবে মারা গেছেন দুজন। সেদিন ঝড়ের সময় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। আর মঙ্গলবার ঢাকায় ঝড়ের বাতাস ছুটেছে ঘণ্টায় ৪২ কিলোমিটার বেগে। এপ্রিলের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস জানিয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এ মাসে সাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ। দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে দুই বা তিনটি তীব্র কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় হতে পারে। ঝড়ের পর উত্তর-উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যেতে পারে দুই দফা মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উচ্চতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এবার গ্রীষ্মের শুরুতে তাপপ্রবাহের সময় উতা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। গেলবছর এপ্রিল মাসজুড়ে ছিল কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতের দাপট। মাসের শেষ দুদিনেই বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে মারা যান অন্তত ৩৩ জন। তার আগে ২০১৭ সাল জুড়েই ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অস্বাভাবিক মাত্রায় বজ্রপাত, অতি ভারি বর্ষণ, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধসের মত একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয় দেশ।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২২:৫৯ ● ৮১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ