সাবিত্রীরা জানেন না গ্রাম থেকে কিভাবে তারা শহরের ভোটার হয়েছেন!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » সাবিত্রীরা জানেন না গ্রাম থেকে কিভাবে তারা শহরের ভোটার হয়েছেন!
সোমবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ত্রাণ আর নগদ সামান্য অর্থের লোভ দেখিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের কয়েক হাজার ভোটারের জাতীয় পরিচয় পত্র হাতিয়ে নিয়ে পৌরসভায় তাদের ভোটার স্থানান্তর (মাইগ্রেট) করেছে স্বার্থান্বেষী একটি মহল। এর মধ্যে দুঃস্থ অসহায় নারীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এলাকার কতিপয় যুবক তাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজোসে ভোটারদের সাথে প্রতারনা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই নারীরা জানতেন না এবং কোন আবেদনই করেননি ভোট স্থানান্তর (মাইগ্রেট) করার জন্য। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা পাচ্ছেননা বয়স্ক ভাতা, দুঃস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডিসহ অন্য কোন সুবিধা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারেননি তারা ।
অনুসন্ধ্যানে দেখা গেছে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর হাজীখালী গ্রামের একই বাড়ীর ১৫ জন নারী-পুরুষের জাতীয় পরিচয় পত্র (মাইগ্রেট) স্থানান্তর করা হয়েছে পটুয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। উত্তর হাজীখালী গ্রামের সাবিত্রী রানী (৩০)। পূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে স্থানীয় মাদারবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তিনি। তার (আইডি নম্বর-৭৮১৯৫৬৭১৯৯০৭৬)। কিন্ত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন মাদারবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। তার ভোট স্থানান্তর (মাইগ্রেট) হয়েছে পটুয়াখালী পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিন আরামবাগ (শাহাপাড়া) এলাকায়। এ কারনে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি তিনি। অথচ তার স্বামী দিনমজুর কালু চন্দ্র ধুপী মাদারবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার।
সাবিত্রী রানীর অভিযোগ, ত্রানের সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে একই এলাকার ২ যুবক কবির ও বেল্লাল এক বছর আগে তার জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যায়। কিছুদিন পর কার্ডটি ফেরত দেয় তারা। গ্রামের ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
পরে সাবিত্রী জেনেছেন, পটুয়াখালী পৌরসভার দক্ষিন আরামবাগ (শাহাপাড়া) এলাকায় তার নতুন ভোটার আইডি নম্বর-২৮১৩৭৭৭২৯৫।
সাবিত্রীর দাবী তিনি কোন দিন পৌরসভার শাহাপাড়ায় যাননি, এমনকি শাহাপাড়া চেনেনও না। তিনি ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করেননি, কেউ তার স্বাক্ষরও নেয়নি। তাহলে শহরের ভোটার হলেন কিভাবে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সাবিত্রীর মতো একই বাড়ীর মায়া রানীর (এনআইডি নম্বর-৬৪১৩৭৭৪৫৯৪) ভোট স্থানান্তর হয়েছে পৌরসভার পশ্চিম আরামবাগ (শাহাপাড়া), পারুল বালার (এনআইডি নম্বর-১৪৩৭৭২৭৬২) ভোটার স্থানান্তর হয়েছে পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ ১ম লেন (শাহাপাড়া) এবং হরিদাস সহ একই বাড়ীর ১৫ জনের ভোট স্থানান্তর (মাইগ্রেট) করে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার সুবজবাগ প্রথম লেনের ১৩৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের মালিক সুনীল কুমার রায়। অথচ একই হোল্ডিংয়ে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের মো. জলিলকে ভোটার দেখানো হয়েছে। সুনীল কুমার রায়ের বাড়ীতে এ নামের কোন ভাড়াটিয়ার সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি।
সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর বাদুরা এলাকার মো. বেল্লাল (এনআইডি নম্বর ৭৮১৯৫১০২৫৩৮৬৬), মো. মানিক কাজী (এনআইডি নম্বর ৩৭০০২৭৫৯৪৮) এবং নিজাম কাজীর (এনআইডি নম্বর-৪৬০০২৭৬৯৪৫) ভোটার স্থানান্তর করা হয়েছে পটুয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে। তাদের নতুন ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে সবুজবাগ (শাহাপাড়া)। কিন্তু পৌরসভার রেজিস্ট্রারে ১২৩ নম্বর হোল্ডিং রয়েছে সবুজবাগ ১ম লেনে। শাহাপাড়া এবং সবুজবাগ ১ম লেন দুটি এলাকা এবং দুই এলাকার ভোট কেন্দ্রও ভিন্ন। শাহাপাড়া এলাকার ভোট কেন্দ্র পলিটেকনিক ইস্টিটিউট কলেজ আর সবুজবাগ ১ম লেন এলাকার ভোট কেন্দ্র দক্ষিন কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পৌরসভার রেজিস্ট্রারে ১২৩ নম্বর হোল্ডিংয়ের অধিকারী সবুজবাগের ১ম লেনের নাজিরা খানম। যার কোন ভাড়াটিয়াও নেই।
ভূক্তভোগীরা এমন অভিযোগ করার পরে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত সবশেষ ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটার তালিকায় খুজেঁ দেখা গেছে, ১২৩ নং হোল্ডিংয়ে অন্তত ৫০ জন ভোটারের জাতীয় পরিচয় পত্র (মাইগ্রেট) স্থানান্তর করা হয়েছে। অথচ যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তারা কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
০১৯৯/০১ হোল্ডিংয়ের সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেনের ঠিকানায় রয়েছে অর্ধশত (মাইগ্রেট) স্থানান্তর করা ভোটার একই ভাবে তারাও গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
এছাড়াও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু ভোটার পটুয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় স্থানান্তর (মাইগ্রেট) করার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, আউলিয়াপুর ইউপি’র ৫ নং ওয়ার্ডের ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা বিধবা হামিদা বেগম। ত্রানের সাহায্য পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একই এলাকার মামুন নামের এক যুবক তার ভোটার আইডি নিয়ে যায়। পরে বিধবা ভাতা দাবী করলে এলাকার মেম্বর জানান তার ভোট পৌরসভায় চলে গেছে। পরে মামুনের কাছে জানতে চাইলে হামিদা বেগমকে পাচশত টাকা নগদ দিয়ে  বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন। পৌরসভার বাসা/হোল্ডিং: ০১৯৯-০১ সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেন (শাহাপাড়া) এলাকায় তার ভোট চলে গেছে। যার এনআইডি নম্বর ৫৫০০৪৫০০২৭। অথচ সবুজবাগ ও শাহাপাড়া এলাকা ভিন্ন এলাকা। দুই এলাকার ভোট প্রদান ভিন্ন ভোট কেন্দ্র। সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেন এলাকার ভোট কেন্দ্র দক্ষিন কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আর শাহাপাড়া-আরামবাগ এলাকার ভোটারদের ভোট কেন্দ্র পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট কলেজে। এ বিষয়ে বিধবা হামিদা বেগম বলেন, আমি জানিনা কেন আমার ভোট শহরে গেছে। আমি অসহায় বিধবা নারী। গ্রামে ভোটার না থাকায় মেম্বর আমাকে বিধবা ভাতাও দেয়নি।
একই ভাবে ছোকানুর বেগম পিতা এছান আলী ভোটার আইডি নম্বর-১৪৫০৪৫৮৮১৩। তার ঠিকানাও ভূল। বাসা/ হোল্ডিং-০১৯৯-০১। মোঃ আবদুল হক পিতা এছাহাক চৌং একই হোল্ডিংয়ে ভোটার স্থানান্তর হয়েছে।
পৌরসভার রেজিস্টারের দেখা গেছে, ০১৯৯-০১ হোল্ডিংয়ের মালিক মোঃ হাফিজুর রহমান পিতা মৃত আব্দুল মন্নান। তার বাসা সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেন। কিন্তু ওই তিনজন ভোটারের এনআইডি কার্ডে ঠিকানা দেয়া হয়েছে সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেন (শাহাপাড়া)। দুটি ভিন্ন এলাকা এবং ভোট কেন্দ্রও ভিন্ন। সবুজবাগ ৬ষ্ঠ লেনের ভোট কেন্দ্র দক্ষিন কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর শাহাপাড়ার ভোট কেন্দ্র পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট কলেজ।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মৌকরন এলাকার পাঁচ শতাধিক নারী ভোটারকে পটুয়াখালী পৌর সভার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দা দেখিয়ে ভোটার করা হয়েছে কোন ধরনের আবেদন ছাড়াই।
মৌকরন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার তালিকার ১ থেকে ১১৪ নম্বর ক্রমের, একই তালিকার ২৬৩ থেকে ৩৩৬ ক্রম, ৫৯১ থেকে ৮৯৫ ক্রম, ৯২০ থেকে ৯৩৩ ক্রম, ৯৫০ থেকে ৯৮৭ ক্রম এবং ১০৬২ থেকে ১০৮৯ ক্রমের ভোটারদের পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটার দেখানো হয়েছে।
একইভাবে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৩১৬ জন নারী ও ৫ শতাধিক পুরুষ, কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২, ৩, ৪, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহ¯্রাধীক নারী-পুরুষ ভোটার স্থানান্তর করে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।
এভাবে ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৮ সালের ৬ মার্চ পর্যন্ত পটুয়াখালী সদরের বিভিন্ন এলাকার ৩ হাজার ৬শ’ ৬৯জন ভোটারকে পৌর শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে তাদের অজ্ঞাতে।
এ বিষয়ে উত্তর হাজীখালী এলাকার যুবক মোঃ কবির ফকিরকে তার ব্যক্তিগত  (০১৭১২১৭৮৭৯২) নম্বরের মোবাইলে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই লাইনটি বিচ্ছিন্ন করেন। পরে আর তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে মো. মামুনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে (০১৭৮৮৩৪২৮৯৬) নম্বরে ফোন করা হলে তিনি বলেন, হামিদা বেগমকে আবার আউলিয়াপুরের ভোটার করা হয়েছে। কিভাবে তাকে পৌরসভার ভোটার করা হলো আর আউলিয়াপুরে আবার কবে স্থানান্তর করা হলো জানতে চাইলে ব্যস্ত আছি বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মামুন।
এ প্রসঙ্গেঁ মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ছালাম মৃধা বলেন, আমার ওয়ার্ডের বহু ভোটার পৌরসভায় চলে গেছে জানতাম না। তিনি বলেন, যখন জেনেছি তখনই নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করি ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন থাকায় তা করতে পারিনি। এখন আবার উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন তাই ভোট স্থানান্তর করা যাবেনা। যারা এগুলো করেছে আমি ওদের গালমন্দ করেছি। গ্রামের অসহায় গরীব মানুষেরা ভিজিডি, বয়স্কভাতাসহ সরকারের দেয়া ােন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার ভায়লা এলাকা সহ ওয়ার্ডের অন্তত ১ হাজার ৪২ জন ভোটার পৌরসভায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অথচ ভোটাররা আদৌ তাদের ভোটার পৌরসভায় স্থানান্তরের বিষয়ে কিছুই জানেন না।
কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, গ্রামের ভোটাররা শহরের ভোটার হতে চাইলে তাকে নিজ হাতে আবেদন করতে হবে, পৌরসভায় খানা থাকতে হবে এবং শহরের বাসিন্দা হতে হবে। কিন্তু সকল নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে তার ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার ভোটারকে পৌরসভায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে কেউ বাড়তি সুবিধা পেতেই গ্রামের ভোটারদের শহরের ভোটার করেছেন বলে মনে করেন তিনি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খালিদ বিন রউফ বলেন, ভোটার স্থানান্তর হতে সংশ্লিস্ট এলাকার কাউন্সিলরের সুপারিশ সহ আবেদন এবং ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন। তারা যথাযথ কাগজপত্র দেখেই ভোটার স্থানান্তর করেছেন। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই হয় দাবী করলেও কখনও কখনও তার অগোচরে কিছু হেরফের হতে পারে বলে তিনি স্বীকার করেন। কেন্দ্রীয় সারবারের বিষয় তাই এর চেয়ে বেশী কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে এ বিষয়ে কারও কোন আপত্তি থাকলে আইনগতভাবে সেটা সমাধান করার কথা বলেন তিনি।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজামুল হক বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে কিছু ভোটার পৌরসভা থেকে স্থানান্তর হয়ে অন্যত্র চলে গেছে বা এসেছে, তাদের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার ভোটার পরিকল্পিতভাবে শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর বা সুপারিশ ছাড়াই।

এসএল/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৮:৫২ ● ৮১৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ