
সাগরকন্যা প্রতিনিধি, গলাচিপা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির প্রবেশপথে পাকা দেয়াল তুলে পথ বন্ধ করে দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজমিস্ত্রী মোঃ রেজাউল সরদারের পরিবার। বাধ্য হয়ে বাঁশের মই বেয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করছেন পরিবারের নারী ও শিশুরা।
ভুক্তভোগী রেজাউল সরদার সাগরকন্যাকে জানান, প্রায় চার বছর আগে নজরুল ইসলাম গংয়ের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের সময় চলাচলের রাস্তা দেখিয়ে জমি বিক্রি করা হয়েছিল। পরে জমিতে বালু ফেলে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন তিনি।
প্রথমদিকে আশপাশের জায়গা খালি থাকলেও ধীরে ধীরে বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু হয়। একই দাগের পাশের জমির মালিক মফিদুল ইসলামও জমি ক্রয়ের তথ্য জানতেন। ওই জমির পূর্ব পাশের পথ দিয়েই যাতায়াত করতেন রেজাউলের পরিবার।
কিন্তু হঠাৎ জমির দাগ নিয়ে বিরোধের জেরে মফিদুল ইসলাম চলাচলের পথ বন্ধ করে পাকা দেওয়াল ও গেট তৈরি করে প্রবেশপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। এতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আর কোনো বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে দেয়ালের দুই পাশে বাঁশের মই বসিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।
রেজাউল সরদারের স্ত্রী শাহানাজ বলেন, দুটি সন্তান নিয়ে মই বেয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা কতটা কষ্টের, তা বলে বোঝানো যাবে না। ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি আনতেও ভয় ও কষ্ট পোহাতে হয়। শিশুরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
রেজাউল সরদার বলেন, মৌজা রতনিদ, জেএল নং ১০৮, খতিয়ান নং ১২৭ থেকে ১৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৫ শতাংশ ক্রয় করেছি। এর সাড়ে চার শতাংশ ভোগদখলে আছে। বাকি আধ শতাংশ জমি রাস্তার জন্য দিয়েছি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তবে জমির মালিক মফিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।