আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের জামাল মোল্লাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মামুন হাওলাদার ও তার সহযোগীরা মাথা থেতলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার (৮ জুন) সকাল ১১ টার দিকে।
জানাগেছে, উপজেলা আঙ্গুলকাটা গ্রামের জামাল মোল্লা শনিবার সকালে তার সীমানা প্রাচীরের মাটি কাটতেছিল। এ সময় প্রতিবেশী মামুন হাওলাদার ও তার সহযোগী মিন্টু মোল্লা, আরিফ মোল্লা ও ইমরান এসে তাদের চলার পথ দাবী করে জামাল মোল্লাকে বাঁধা দেয়। জামাল মোল্লা তাদের কথা উপেক্ষা করে মাটি কাটলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জামাল মোল্লার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে দিয়েছে। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আলহাজ¦ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, জামাল মোল্লার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মাথায় ব্যান্ডেজ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত জামাল মোল্লা বলেন, আমি আমার সীমানা প্রাচীরের মাটি কাটতে গেলে প্রতিবেশী মামুন হাওলাদার, মিন্টু মোল্লা,আরিফ মোল্লা ও ইমরান আমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী মিন্টু মোল্লার ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুঠোফোনে বলেন, আমাদের চলার পথ দেয় জামাল মোল্লা। ওই জমি আমরা ভরাট করেছি। ওই ভরাট করা জমির মাটি কাটতে গেলে আমরা জামাল মোল্লাকে বাঁধা দেই। এ সময় জামাল মোল্লার হাতে থাকা কোঁদাল দিয়ে আঘাত করেছি। এতে তার মাথা ফেটে গেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর