অগ্নিকান্ড রোধে প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ নির্দেশনা

প্রথম পাতা » জাতীয় » অগ্নিকান্ড রোধে প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ নির্দেশনা
সোমবার ● ১ এপ্রিল ২০১৯


অগ্নিকান্ড রোধে প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ নির্দেশনা

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

অগ্নিকান্ড ও ক্ষয়ক্ষতি রোধে উচ্চ ভবনের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শনের ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া, নিয়মিত পরিদর্শন করে প্রতিবছর নবায়নের ব্যবস্থা রাখাসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্যে আরও আছে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড কঠোরভাবে মানা, অন্তত তিন মাস পরপর উঁচুতলা ভবনে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া দেওয়া, আগুন লাগার পর ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আরও উন্নত ব্যবস্থা রাখা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগুন লাগার পর অনেক সময় পর্যাপ্ত পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারে না। এজন্য যেখানে সম্ভব সেখানেই জলাধার বা জলাশয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ঢাকার লেকগুলোকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। ভবনের প্ল্যান যেন বাস্তবতা চিন্তা করে করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সব ভবনেই শতভাগ জরুরি নির্গমনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি হাসপাতাল ও স্কুলগুলোতে বারান্দা ও খোলা জায়গা রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী সচেতনতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। পরে সাংবাদিকেরা গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের কার্যালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা তাঁদের কাজকে আরও উজ্জীবিত করবে।
রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এই আগুনের ঘটনার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার বহুতল ভবনগুলো নির্মাণে কোনো অনিয়ম আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৪টি উপদল (টিম) গঠন করা হয়েছে। তারা গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। তাদের আগামি ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোন কোন ভবনে অনিয়ম রয়েছে বা ভবনগুলো কী অবস্থায় আছে, তার তথ্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হবে। এরপর মালিককে একটা সংক্ষিপ্ত সময় দিয়ে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে বলা হবে। এরপরও নিয়ম না মানলে ফৌজদারি ব্যবস্থাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৯-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৩:১৮ ● ৪৮৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ