ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০দিনের আল্টিমেটামবড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ঘেরাও করে বিক্ষোভ-সমাবেশ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২০দিনের আল্টিমেটামবড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ঘেরাও করে বিক্ষোভ-সমাবেশ
মঙ্গলবার ● ৮ অক্টোবর ২০২৪


বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ঘেরাও করে বিক্ষোভ-সমাবেশ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ১৩ গ্রামের সহ্রসাধিক নারী ও পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণের ৬ দফা দাবিতে কয়লাখনি গেট এলাকা ঘেরাও, বিক্ষোভ, সমাবেশসহ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় খনির সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে খনি গেটে অঠোর অবস্থানে থাকেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে ৬ দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ গ্রামের সহ্রসাধিক নারী-পুরুষ নিজ নিজ গ্রাম থেকে ব্যানার ও ফ্যাস্টুনসহ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কয়লাখনির গেট এলাকায় ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন পূর্বক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কপথের ছোটবড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি লাম মোস্তফা, আলী হোসেন, রবিউল ইসলাম ম-ল, আল বেরনী, আব্দুর রহমান, আবেদ আলী, সাইদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামানসহ আরো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী প্রমুখ।
আগামী ২০ দিনের মধ্যে ৬দফা দাবি পূরণ করা না হলে দাবি পূরণের দাবিতে কঠোর আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। এরজন্য খনির উৎপাদন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের কোনো প্রকার বিঘিœত হলে এর দায়দায়িত্ব খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ দফা দাবিতে রয়েছে, খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে স্থায়ী চাকরি প্রদান, ১৩ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ীগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন গ্রামবাসী তাদেরকে পুনর্বাসন করা, ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে উন্নতমানের বাসস্থন তৈরি করে দেয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের এককালিন অবশিষ্ট ক্ষতিপুরণের টাকা দেয়া, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করাসহ মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও রাস্তা পুননির্মাণ করা এবং যেসকল ক্ষতিগ্রস্তদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তাদেরকে উৎপাদিত কয়লার ৫শতাংশ বোনাস দেয়া। ক্ষতিগ্রস্ত দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ভূগর্ভে মাইন বিষ্ফোরণের কারণে বিকট শব্দ ও কম্পনে খনি সংলগ্ন বৈগ্রাম-কাশিয়া ডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বর পাড়া, দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), পূর্ব জ্জবর পাড়া, চক মহেশপুর, হামিদপুর, উত্তর চৌহাটি, চৌহাটি, সাহাগ্রাম, দুর্গাপুর মোট ১৩টি গ্রামের ঘরবাড়ী, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা ফেটে ও দেবে গেছে। অনেক ঘরবাড়ী ভেঙে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে গ্রামবাসীর। আমরা ৬ দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসী। আগামী ২০ দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। এরজন্য ক্ষতি উৎপাদন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে কোনো প্রকার বাধাগ্রস্ত হলে এর দায়দায়িত্ব কনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, গ্রামবাসী ক্ষতির বিষয়টি সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে শেষ হলেই তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।


এসিজি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৬:১২ ● ২৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ