দেবহাটার রাস্তায় শুকনো গাছে প্রাণহানীর ঝুঁকিতে পথচারীরা!

প্রথম পাতা » খুলনা » দেবহাটার রাস্তায় শুকনো গাছে প্রাণহানীর ঝুঁকিতে পথচারীরা!
শুক্রবার ● ৭ জুন ২০২৪


দেবহাটার রাস্তায় শুকনো গাছে প্রাণহানীর ঝুঁকিতে পথচারীরা!

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ মহাসড়কের দেবহাটার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশের হেলে পড়া শুকনো গাছ থেকে প্রতিনিয়ত ডালপালা ভেঙে পড়ছে। ব্যাস্ততম সড়কটির পাশে দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা থাকায় প্রতিনিয়ত আহত হচ্ছে পথচারীরা। এমনকি ডালপালা ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে যানবহনের।
জানা গেছে, বিভিন্ন সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাছগুলো মরে পড়ে আছে বহুদিন ধরে। সরকারি নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় এসব গাছ অপসরণ সম্ভব হচ্ছে না। আর সেকারণে মরে পড়ে থাকা গাছগুলো ভেঙে পড়লেও কেটে ফেলার অনুমতি মিলছে না। এতে করে রাস্তায় উভয়পাশে বাজার, স্কুল-কলেজ ও একাধীক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিদিন এ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সবধরনের মানুষ ঝুঁকিতে চলাচল করছে। তাছাড়া হেলে পড়া গাছটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে জনসাধারনের। দেবহাটার সখিপুর মোড় থেকে উপজেলা মোড় পর্যন্ত অসংখ্য গাছ শুকিয়ে গেছে। হালকা ঝড়-বৃষ্টি হলেই গাছের ছোট বড় ডালপালা ভেঙে পড়ছে। কোন কোন সময় মরা গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়ে বাড়ছে দূর্ভোগ।
দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, এই গাছগুলোর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় খুবই ভয় করে। কারণ না জানি কখন ভেঙে পড়ে। কিছুদনি আগে পারুলিয়া গরুহাটে মরাগাছের ডাল পড়ে জাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বললেও তারা কোন উদ্যোগ নিতে পাচ্ছেন না। সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের গাছ হওয়ায় সরকারি নিয়মে আটকে আছে মরা গাছ অপসরণ। আমরা চাই বর্ষার আগেই এই গাছগুলো কেটে ফেলা হোক।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত সমিতির দেবহাটা সাব-জোনালের এজিএম জহুরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে মরা গাছ থাকায় বিভিন্ন সময় তা বিদ্যুতের তারের উপরে পড়ছে। এতে সংযোগ তা ছিড়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যার ফলে দূর্ঘটনা এড়াতে আবহাওয়ার খারাপ অবস্থা জানা মাত্র সংযোগ বন্ধ করতে হচ্ছে। এতে করে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সড়কের পাশে মড়া গাছ নিয়ে আমরা খুব ঝুঁকিতে আছি। না জানি কখন কি বিপদ হয়। মরা গাছগুলোর মালিকানা ও অনুমতি না হওয়ায় অপসরণ করা যাচ্ছে না। তবে সাধারণ জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে অতিঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল কেটে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষণ করার জন্য চেয়ারম্যানদেরকে মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দূর্ঘটনা এড়াতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।


কেই/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৮:৪৭ ● ৫০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ