কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ রুপ নিয়েছে। সমুদ্রের গর্জনের সাথে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে বালিয়াড়িতে। রোববার ভোররাত থেকে দিনবর দমকা বাতাসের সাথে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টিপাত।গোটা আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। সমুদ্র ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়রের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল সমুদ্র থেকে ফিরতে শুরু করছে মাছ ধরার ট্রলার। আগাম বৃষ্টির কারনে কৃষকরা উৎপাদিত রবিশস্য ঘরে তুলতে পারেনি। মুশুরী ডাল, প্যালন ডাল, মুখ ডাল,কলাই,খেশারি,মিষ্টি আলু, গোল আলু, বাদাম, তৈলবীজ সূর্যমূখী,মরিচসহ নানান প্রকার রবিশস্য বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ঝুঁকিতে রয়েছে কুয়াকাটা রক্ষা বেড়িবাঁধের ৪৮ নং পোল্ডারের দুটি পয়েন্টসহ সমুদ্র মোহনা আন্ধারমানিক নদীর তিন নদীর সংযোগস্থ নিজামপুর, কোমরপুর ও সুধীরপুর বেড়িবাঁধ।
সিপিপি’র লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম সাগরকন্যাকে বলেন, ২নম্বর সর্তক সংকেত চলছে। দূর্যোগ মোকাবেলায় কলাপাড়া উপজেলায় ৩ হাজার ১শ’ ৬০ রেড়ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায় প্রস্তুত রয়েছে।
পাউবো’র ্কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী মেহরাজ তুহিন জানিয়েছেন, কুয়াকাটা সৈকত লাগেয়া ৪৮ নং পোল্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। ৪৭নং পোল্ডারের নিজামপুর পয়েন্টে বেড়িবাঁধের কাজ হয়েছে। তিন নদীর মোহনা বিধায় বড় ধরনের জলোচ্ছাস না হলে কোন শংকার কারণ নেই। তবুও জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্তক রয়েছি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি’ মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে করণীয় শীর্ষক প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সাইক্লোনগুলো জনসাধারনদের আশ্রয়ের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কেএআর/এমআর