দুই শিক্ষার্থীকে মারধর-বামনায় সহপাঠিদের মানববন্ধন, গ্রেফতার ১

প্রথম পাতা » বরগুনা » দুই শিক্ষার্থীকে মারধর-বামনায় সহপাঠিদের মানববন্ধন, গ্রেফতার ১
বুধবার ● ৯ মার্চ ২০২২


বামনায় সহপাঠিদের মানববন্ধন, গ্রেফতার ১

বামনা(বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সহপাঠীর পিতার কাছে মোবাইল ভেঙ্গে ফেলার ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে দুই শিক্ষার্থীকে দোকানে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে ওই সহপাঠির পিতা ও তার মামা। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ওই দুই শিক্ষার্থীকে  নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করেন। গ্রেফতাকৃত ব্যক্তির নাম মো. সেলিম হোসেন। তিনি খুলনার খালিশপুরের শেখ ওমর আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি রামনা ইউনিয়নে শশুর বাড়িতে থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নে। নির্যাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থীরা হলেন উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের আ. হানিফ হোসেন এর ছেলে রামনা শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাঈম(১১) ও তার বড় ভাই একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো. মানিক(১৩)। নিযর্াাতনের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
এঘটনায় বুধবার ওই দুই শিক্ষার্থীর নানা আঃ হাই লাল মিয়া বাদী হয়ে বামনা থানায় ২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হলেন  মো. সেলিম হোসেন(৪৫) ও রামনা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. আরাফাত(২৫)।
এদিকে বুধবার রামনা শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে নির্যাতনের শিকার সহপাঠি ও অন্যন্য শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা নির্যাতন কারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরু হওয়ার পূর্বে সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নাঈম এর স্কুল ব্যাগে পিছন দিয়ে ঘুষি মারে সহপাঠি সেলিম হোসেন এর ছেলে মো. শান্ত। ঘুষিতে ওই স্কুল ব্যাগে থাকা একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ভেঙ্গে যায়। মোবাইল ভেঙ্গে যাওয়ার বিচার ও ক্ষতিপূরন চাইতে নাঈম ওইদিন স্কুল ছুটির পরে বামনা লঞ্চঘাট এলাকায় সহপাঠির শান্ত এর পিতার দোকানে গেলে। শান্তর পিতা সেলিম হোসেন ও মামা মো. আরাফাত এই দুইজনে মিলে নাঈমকে চর থাপ্পর মারতে থাকে। ঘটনাটি নাইম এর বড় ভাই মানিব শুনে সেখানে গেলে তারা দুজনকে একটি দোকানে আটকে রেখে রড দিয়ে পেটায়। এই পিটানোর ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ হয়। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ওই নির্যাতন কারী মো. সেলিম হোসেনকে আটক করে।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম জানান, আমরা বিষয়টি জানার সাথে সাথে অভিযুক্তকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এইচআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৭:৪৩ ● ২০৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ