গোপালগঞ্জে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণা!

প্রথম পাতা » ঢাকা » গোপালগঞ্জে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণা!
বুধবার ● ৯ জুন ২০২১


গোপালগঞ্জে চাকুরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে নড়াইলের নড়াগাতি থানার জয়নগর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার কামরুল ঠাকুরের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৯ জুন) সকালে জেলা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার গোপালগঞ্জ শহরের মিয়া পাড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কাউয়ুম কাজী এসব অভিযোগ করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে গোপালগঞ্জ শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকার ফ্ল্যাক্সি লোড ব্যবসায়ি ও নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি ইউনিয়নের মেম্বার কামরুল ঠাকুরের সাথে প্রায় দুই বছর আমার পরিচয় হয়। এরপর তার সাথে আমার সখ্যতা গড়ে ওঠে। একপর্যায় তিনি আমাকে বলেন, তার মামা নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার বাঈসোনা গ্রামের এমদাদ মোল্লার ছেলে মোল্লা শরিফুল ইসলাম একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে তার খুব ভাল সম্পর্ক। ওই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক বেকার ও চাকরি প্রত্যাশিদের সরকারি চাকরি দিয়েছেন। এসময় আমি আমার বড় বোনের ছেলে সোহেল ফকিরের জন্য একটি সরকারি চাকরির কথা বলি। পরে ওই ইউ,পি মেম্বার তার মামার সাথে কথা বলে আমার ভাগ্নেকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলেন। আমি রাজি হলে কাউয়ুম ঠাকুর চাকরি বাবদ আমার কাছ থেকে নগদ জন্য ১ লাখ ৩০হাজার টাকা নেন। এরপর তিনি ধ,স,হা/গ/গ/২০১৯/২৩১৫ স্মারকে ২৫.১১.২০১৯ এর অনুবৃত্তিক্রমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে  আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের নির্দেশনার আলোকে ২০২০ অর্থবছরের জন্য ওয়ার্ড বয় পদে আমার ভাগ্নেকে একটি নিয়োগ পত্র দেন।
আমার ভাগ্নে হাসপাতালে যোগদান করতে গেলে কর্তৃপক্ষ তার নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানায়। এরর্প আমি বিষয়টি ইউপি মেম্বার কামরুল ঠাকুরকে জানাই এবং আমার টাকা ফেরত চাই। সে আমাকে টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহানা শুরু করেন। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি কামরুল ঠাকুর একজন প্রতারক। চাকরি দেয়ার কথা বলে তিনি আরো অনেকের থেকে টাকা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কাউয়ুম কাজী আরও বলেন, আমি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি প্রতারক কামরুল ঠাকুরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি। অন্যাথায় অরও অনেক বেকার যুবক ও চাকরি প্রত্যাশী তার প্রতারণার জালে ধরা পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যাবে বলে আমার আশংকা।
প্রসঙ্গত, প্রতারক কাউয়ুম ঠাকুর ওরফে মো. কামরুল ইসলাম নড়াইলের নড়াগতি থানার জয়নগর ইউনিয়নের মেম্বার এবং পানিপাড়া গ্রামের মৃত, সরোয়ার জান ঠাকুরের ছেলে।

 

 

 

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৪৯:৪২ ● ৩৫৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ