দশমিনায় পানের বাজারের আগুন, বিপাকে ভোক্তারা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় পানের বাজারের আগুন, বিপাকে ভোক্তারা
শুক্রবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১


দশমিনায় পানের বাজারের আগুন, বিপাকে ভোক্তারা

দশমিনা (পটয়িাখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পানের বাজারে আগুন বিপাকে সাধারন ভোক্তরা। পান মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম। যে কনো খাবারের পরে পান না খেলে মানুষ যেনো অস্বস্তিতে ভোগে। সখের বশবর্তি হয়েও অনেকে পান খায়। গ্রামের যে কোনো বাড়িতে বেড়াতে গেলেও অতিথিকে কমপক্ষে পান খেতে দেয়া হয়। সেই পানের বাজারে হঠাৎ আগুন লেগেছে, এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ছোট ছোট এক চলি পান বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা দরে। একটু ভালো পান বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২শ’ টাকা দরে আর থেমে নেই সুপারির দামও। বাজারে প্রতি কেজি সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ সাড়ে টাকা দরে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পান দোকানগুলোতে ছোটো পানের খিলি আবার কিছু দোকানী পানের অর্ধেক করে খিলি বিক্রি  করছেন ৫টাকা দরে। অনেকে আবার পানের দাম বৃদ্ধিতে খিলিপান বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। আর সুপারির দামও বেশি থাকার কারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার নলখোলায় পাইকাড়ী পান ব্যাবসায়ী সত্য রঞ্জন ও বাবুল চন্দ্র জানান, আগে যে পান ৬০ টাকা চলি ছিল, এখন দাম বেড়ে ১৫০ টাকা, ১০-১৫ টাকার পান ৫০-৭০ টাকা, ৩০-৪০ টাকার পান ৮০-৯০ টাকা হয়েছে। তবে প্রকৃতিক কারনে ঘনকুয়াশায় পানের বরজে ছত্রাকের আক্রমন বেশী হওয়ায় পান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সে কারনে মোকামেই পানের মুল্য অনেক বেশী। তাই বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গছানী বাজারের খুচরা পান বিক্রেতা রিপন চন্দ্র ও আনিচুর রহমান বলেন, একমাস ধরে পানের দাম দ্বিগুন মূল্য হয়েছে। আর সুপারির দামও বেশি রয়েছে মোকাকে। বাজারের চায়ের দোকনী আলঙ্গীর রাড়ি বলেন, পান সুপারির দাম বেশি থাকার কারনে কারনে খিলি পান অর্ধেক করে পাঁচ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।  যা আগে আমরা একটা বিক্রি করতাম পাঁচ টাকায়। তিনি আরও বলেন, পান সুপারির দাম বৃদ্ধির কারনে খিলি পান বিক্রি কমে গেছে। এতে অনেক দোকান বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন, শীতের মৌসুমে ঘনকুয়াশার কারনে পানের সংকট দেখা দেয়।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৯:৫৬ ● ৩১২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ