নেছারাবাদে রেকর্ডিয় খাল ভরাটে বে-দখল

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » নেছারাবাদে রেকর্ডিয় খাল ভরাটে বে-দখল
মঙ্গলবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২০


নেছারাবাদে রেকর্ডিয় খাল ভরাটে বে-দখল

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

নেছারাবাদের বরছাকাঠী এলাকার রেকর্ডিয় খাল ভরাট করে বাড়ীঘর নির্মাণ করায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুরাবস্থায় পড়েছে এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার। খালের মোহনা থেকে শুরু করে কয়েকটি স্থান ভরাট করে ফেলায় খালের বাকি অংশে জমে থাকা পানি এখন ময়লার ভাগাড়সহ জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে। খালে জমে থাকা পানি আর বৃষ্টির পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা ফালানোর কারনে আবর্জনা পঁেচ সৃষ্ট অসহনীয় দুর্গন্ধ মানুষকে অতীষ্ট করে তুলেছে। বেড়ে গেছে মশা-মাছির উপদ্রব।
সরেজমিনে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের বরছাকাঠী এলাকায় দেখা যায়, বরছাকাঠী কাঠের বাজারের মাঝখান দিয়ে পশ্চিম দিকে একটি খাল মরহুম হাজী মোসলেম আলী মিয়ার বাড়ী হয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কালীবাড়ি খালের সাথে মিশেছে। এর কোন কোন স্থানে বালু ভরাট করে সেখানে বাড়ীঘর নির্মাণ করেছেন কেউ কেউ। খালের মোহনার দিকে (কাঠ বাজার সংলগ্ন)  দুই তৃতীয়াংশ ভরাট করেছেন হালিম সাহেবের ছেলে রাইসুল। তার সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।  এসময় খালের দক্ষিন পারে বাড়ীর মো. জামাল বলেন, ওপারের লোকজন খালের মধ্যে তাদের জমি দাবী করে ভরাট করছে। শাহশের আলী (শাসু) মিয়ার বাড়ীর পশ্চিম পাশে বারেক মিয়ার মেয়ে তহমিনা কালভার্টের মুখ আটকিয়ে খালের মধ্যে বালু ভরাট করেছেন। শাহশের আলী মিয়ার ছেলে বেলায়েত হোসেন বলেন, এ খাল দিয়ে বড়বড় নৌকা চলত। ভাড়ানী খাল হিসেবে এ খালটি বেশি ব্যবহার করত। কাঠামী নৌকা ঢুকে কাঠ ও গোলপাতা  ওঠানো নামানো হত।
তখন উপস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর কবির লাল বলেন, বাড়ীঘর নির্মাণকারীদের বার বার অনুরোধ করা হলেও তারা তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মত কাজ করে চলছেন। তিনি জানান, বরছাকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাসুন্নাহার হালিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারনে ওই মৌসুমে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়। মৌসুম শেষ হলেও দু‘একমাস পর্যন্ত প্রচন্ড দুর্গন্ধ শিক্ষার্থীদের অতীষ্ট করে তোলে।
সমাজ সেবক মাসুদ করিম জানান, সরকারী বিভিন্ন জরিপে (আর এস,এস এ ও বি এস) খালটি নকশা ভুক্ত রয়েছে। যার প্রশস্থ ২১ লিং। বরছাকাঠি খাল নামে পরিচিত ওই খাল দিয়ে অসংখ্য বড় বড় নৌকা চলাচল করত। প্রভাবশালীরা যে যার মত করে খালটি ভরাট করে ফেলায় অনেক স্থানে খালের কোন নমুনাই নেই। খালের মোহনা ভর্তি করে ফেলায় ভেতরের পানি বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ফলে ওই দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. বশির গাজী‘র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি কিছু দিন হয় নেছারাবাদে যোগদান করেছেন। যে টুকু দেখেছেন তাতে উপজেলার অনেকগুলো খালই দখল হয়েগেছে। বরছাকাঠী এলাকায় আগামী দিন যাবেন।  সরেজমিনে দেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

এমআরএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৩:২৩ ● ২৭৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ