অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে॥
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কনকনে শীত, ঘণ কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বরজের পানে দাগ, শিকড় পচা ও পাতা ঝরে পরাসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ দেখা দেয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে চাষীরা।
রাজিহার গ্রামের পান চাষী সাইদুল খান, আকফাত আলী, তালতারমাঠ গ্রামের বিমল হালদার, খোকন হালদারসহ অনেকেই জানান, পান বরজের ক্ষতির কারণে গত দু’সপ্তাহ আগে থেকেই আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছেন তারা। ঘণ কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে পান পাতায় হলুদ দাগ দেখা দিয়েছে, পচে যাচ্ছে পান পাতা, শিকড়ও শুকিয়ে যাচ্ছে। শীত মৌসুমে পানের দাম ভাল থাকলেও পান পেকে যাবার কারণে তারা আর্ধিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
তারা জানান, পানের পাতায় বিশেষ করে পাতার নীচের অংশে কালো দাগ হওয়ায় এবং অল্প দিনেই পান পেকে ঝরে পরার কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মোকামে আগের চেয়ে কম দামে পান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বরজ থেকে পান সংগ্রহ করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবহন এবং বিক্রি পর্যন্ত দু’দিন সময় লাগে। আর এ সময়ের মধ্যে পান পাতা নষ্ট হয়ে যায়।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বলেন, উপজেলায় মোট ২২৫ হেক্টর জমিতে পান বরজের চাষ রয়েছে। প্রায় সকল ইউনিয়নেই কম বেশী পান চাষ হলেও এরমধ্যে রাজিহার ইউনিয়নের রাজিহার, কান্দিরপাড়, রাংতা, চেঙ্গুটিয়া, গৈলা ইউনিয়নের শিহিপাশা, তালতারমাঠ, টেমার, পতিহার, মুড়িহার এলাকায় বেশী পান চাষ হয়। শীতের সময় আপনা আপনি পান হলুদ রং ধারণ করে হয়ে ঝরে পরে। এটা শীতজনিত রোগ। তারপরেও পান পাতায় ছত্রাকের কারণে দাগ পরে। এজন্য ছত্রাক নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে শীতের হাত থেকে পানবরজ বাচাতে খর বা পলিথিন দিয়ে ভালভাবে বরজ ঢেকে বেড়া দিলে চাষীরা ভাল উপকার পাবে বলেও জানান তিনি।