কলাপাড়া লক্ষীর হাটের ব্রিজ ভেঙ্গে দশ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়া লক্ষীর হাটের ব্রিজ ভেঙ্গে দশ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে
শুক্রবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২০


---

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ও ডালবুগঞ্জ দুই ইউনিয়নের সংযোগ লক্ষীর হাট খালের উপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের দেড়যুগ আগে নির্মিত  আয়রন ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে নড়বড়ে হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ভেঙ্গে লক্ষীখালে পড়ে যায়। ব্রিজটির উওরপাড় সিসি পিলার ও লোহার এঙ্গেল মরিচা ধরে ভেঙে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসী। সেতু ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর ও জরুরী চিকিৎসা নিতে এবং ক্ষেতে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে যেতেও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। ব্রিজটির উপর দিয়ে দশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে আসছিল।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ২০০১ সালে লক্ষীর হাট খালের উপর অর্ধেক সিসি ডালাই ও অর্ধেক লোহার এঙ্গেল দিয়ে ব্রিজটি নির্মান করে। সরেজমিন স্থানীয়দের সুত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাতটায় ব্রিজটির উওরপাড় আর সিসি পিলার ও লোহার এঙ্গেল মরিচা ধরে ভেঙে পড়ে যায়। ঘটনার সময় ব্রিজটিতে মানুষ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ব্রিজটির উপর দিয়ে ডালবুগঞ্জও লতাচাপলী এবং ধুলাসার তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ, মিশ্রীপাড়া ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রীজ পার হয়ে স্কুল-কলেজে আসতে হয়। অসুস্থ ও গর্ববতী মায়েদের নিয়ে কষ্টের কোনো শেষ থাকেনা। বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকা পারাপার হতে হয়।
ওই ব্রিজটি পার হয়ে তারিকাটা ,নয়াকাটা, নয়াকাটা দিওর, বেীলতলীগ্রাম , বেীলতলীপাড়া , মুসলিমপাড়া , খেচাউপাড়া , বেতকাটা , বেতকাটাপাড়া, বেতকাটাচর , সোনাপাড়া, পক্ষিয়াপাড়া, কাজিকান্দা , সুরডগি, বরকুতিয়া, খাপড়াভাঙ্গা ,মনসাতলীসহ কয়েক গ্রামের মানুষকে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় রাখাইন মন্দির মিশ্রিপাড়া ও লক্ষী এবং শিববাড়ীয়াবাজার যেতে পার হতে হয় এ ব্রিজ দিয়ে। এ এলাকার লোকজন লক্ষীর বাজার ব্রিজ দিয়ে সড়ক যোগযোগ সৃষ্টি করাসহ পাকা রাস্তা হয়ে সহজে সাপ্তহিক মহিপুর বাজার ও মহিপুর থানার অফিসের কাজের জন্য যাতায়ত করে। সপ্তাহের  শনিবার দিন লক্ষীর বাজার হাট বসে। দূরদূরন্ত থেকে কৃষিপন্য ও মালামাল মাথায় করে এলাকাবাসীকে এ ব্রিজ পার হাটে যেতে হয়। স্কুল ,মাদ্রাসা ও কলেজ খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়বে।
স্থানীয় বরকুতিয়া গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী ফোরকান আকন জানান, ব্রিজটি খালের উপর অর্ধেক সিসি ডালাই ও অর্ধেক লোহার এঙ্গেল দিয়ে ব্রিজটি নির্মান করে। ব্রিজটির নির্মানের পর কোন মেরামত করা হয়নি। এজন্য অল্পতে ব্রিজাট ভেঙে পড়ে। এখন আমাদের চলাচলের দুর্ভোগের শেষ নেই। ওই ব্রিজ পার হয়ে প্রায় দিনই মহিপুর বাজারে যেতে হয়।
মিশ্রীপাড়া ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা জানান, করোনা শেষ হলে স্কুল খুললে আমার বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ও কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবেনা। স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন কাঁদা পেরিয়ে খেয়া পারাপার হতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলার চেয়ারম্যান এস,এম,রাকিবুল আহসান জানান,  উপজেলা যে কয়টি ঝুঁকিপুর্ন আয়রন ব্রিজ আছে সে গুলো কাগজপত্র ওকে হয়ে আসছে শুধু করোনার কারনে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকৌশলী মো. মোহর আলী বলেন, লক্ষী খালের উপর আর সিসি ব্রিজের অনুমোদন হয়েছে শুধু টেন্ডার বাকী আছে।

এইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২২:৩৪ ● ৩৮২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ