শখের সাগরযাত্রা কাল হলো রাঙ্গাবালীতে ট্রলারডুবিতে বাবা-ছেলের মৃত্যু

হোম পেজ » লিড নিউজ » শখের সাগরযাত্রা কাল হলো রাঙ্গাবালীতে ট্রলারডুবিতে বাবা-ছেলের মৃত্যু
শুক্রবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫


 

শখের সাগরযাত্রা কাল হলো, রাঙ্গাবালীতে ট্রলারডুবিতে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

রাঙ্গাবালী থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় বাবা শামীম ও তার ১২ বছরের ছেলে সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে সাগরের পাইপ বয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা স্লুইস ঘাটে আনা হয়। এ সময় ট্রলারের ভেতর থেকে শামীমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার ছেলে সিয়ামের মরদেহ। পরে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহত শামীম বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা এবং ট্রলার মালিক মো. সিদ্দিক জোমাদ্দারের ছেলে। শিশু সিয়াম ছিল তার নাতি এবং চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগে সে বার্ষিক পরীক্ষা দেয়।

উদ্ধার হওয়া জেলে রাব্বি, শাওন ও রাশেদ জানান, গত রবিবার চরগঙ্গা বাঁধঘাট বাজার এলাকা থেকে সিদ্দিক জোমাদ্দারের মালিকানাধীন একটি ট্রলারে ছয়জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। টানা দুই দিন মাছ ধরার পর বুধবার রাতে পাইপ বয়া এলাকায় ট্রলারটি নোঙর করা হয়। এ সময় হঠাৎ ঝড়ো বাতাসের তুফানে আঘাত করলে ট্রলারের নিচের অংশে ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার সময় শামীম ও তার ছেলে সিয়াম ট্রলারের ভেতরে আটকা পড়েন।

এ ঘটনায় মো. সিদ্দিক জোমাদ্দার (৫৭), শাওন (২৫), রাব্বি (১৯) ও রাশেদ (২১) ট্রলারের ভাসমান অংশ ধরে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকেন। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে অপর একটি মাছধরা ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।

ছেলে ও নাতিকে হারিয়ে ট্রলার মালিক মো. সিদ্দিক জোমাদ্দার বলেন, শখের বশে নাতি বাবার সঙ্গে সাগরে গিয়েছিল। একসঙ্গে ছেলে ও নাতিকে হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম সাগরকন্যাকে জানান, ঝড়ো হাওয়ার কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়। চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাবা ও ছেলে ট্রলারের ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং নৌপুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. নূরে জায়েদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। মরদেহ উদ্ধার শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০১:৩১ ● ৩৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ