কুয়াকাটায় সরকারি খাল দখল করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের অভিযোগ

হোম পেজ » লিড নিউজ » কুয়াকাটায় সরকারি খাল দখল করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের অভিযোগ
সোমবার ● ১ ডিসেম্বর ২০২৫


 

কুয়াকাটায় সরকারি খাল দখল করে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের অভিযোগ

সাগরকন্যা প্রতিবেদক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নবীনপুর খালটি ইতোমধ্যে দখল ও দূষণে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপখালী-নবীনপুর অংশে খালের ওপর মাটি ভরাট করে ১১ তলা পাঁচ তারকা মানের একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয় পরিবেশ ও পর্যটন শিল্পের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছেন পৌরবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, খালের ভেতরেই মাটি ভরাট করে ভিত্তি তৈরির কাজ চলছে। খালের দুই পাশে আগে থেকেই দোকান, বসতঘর ও আবর্জনার স্তূপে এটি প্রায় নর্দমায় পরিণত হয়েছে। ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, খাল দখল বন্ধ না হলে ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল বলেন, এই খাল দিয়াই আগে পানি নামতো। এ্যাহন দোকান, বসতঘর আর আবর্জনায় বোঝাই যাচ্ছেনা যে এখানে খাল আছে। এখন আবার খালের ওপর হোটেল উঠতেছে। দখল বন্ধ না করলে বর্ষায় ঘরে পানি ঢুইকা যাবে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ বলেন, খালটি দখলের কারণে মরা খালে পরিণত হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুনঃখনন ও দুপাশ দৃষ্টিনন্দন করলে পর্যটন উন্নয়ন ও সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। এজন্য দ্রুত খালটির প্রাকৃতিক রূপ ফিরিয়ে আনা জরুরি।

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর স্থানীয় সংগঠক মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলেন, খালটির সীমানা নির্ধারণ, দখলদার উচ্ছেদ ও সঠিকভাবে খনন না করলে কুয়াকাটার টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এর আগেও নামমাত্র খননের নামে বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা নষ্ট হয়েছে।

অভিযুক্ত হোটেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী বরেণ বালা মুকুল বলেন, আমরা পৌরসভার দেওয়া ম্যাপ অনুযায়ী কাজ করছি। খাস খাল দখল করা হয়নি। এখানে পাঁচ তারকা মানের ১১ তলা আবাসিক হোটেল হবে।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ার ও তহসিলদার ঘটনাস্থল যাচাই করছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হামিদ বলেন, খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:৫৯ ● ২১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ